Advertisement
  • হোম
  • রাজনীতি
  • নির্বাচন বর্জন না করে নিজেদের খারাপ আচরণগুলো বর্জন...

নির্বাচন বর্জন না করে নিজেদের খারাপ আচরণগুলো বর্জন করুন: মাসুদ সাঈদী

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জিয়ানগর উপজেলায় সমাবেশে মাসুদ সাঈদী। ছবি: সংগৃহীত
জিয়ানগর উপজেলায় সমাবেশে মাসুদ সাঈদী। ছবি: সংগৃহীত

ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে কিছু রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়াকে সমালোচনা করেছেন জামায়াত নেতা মাসুদ সাঈদী।

তিনি বলেছেন, নির্বাচন বর্জন না করে নিজেদের খারাপ আচরণগুলো বর্জন করুন। জনগণের কাছে যান, জনগণের ভালোবাসা পেতে চেষ্টা করুন। জনগণ কী চায় তা বোঝার চেষ্টা করুন। তাহলে আর ভোট বর্জন করতে হবে না।

সোমবার বিকেলে পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার ঘোষেরহাট বাজারে সদর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগ আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাসুদ সাঈদী বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের অধিকাংশই চেয়ারকে পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেছে। দেশের উন্নয়ন বা জনগণের কল্যাণের কথা তারা চিন্তা করেনি। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে, সম্পদের পাহাড় গড়েছে। জোর করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে, কিন্তু কেউ সফল হয়নি।

তিনি আগামী নির্বাচন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে করার দাবি জানিয়ে বলেন, পিআর পদ্ধতি একটি গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা। কিন্তু যারা কালো টাকায় নির্বাচন করে এবং মনোনয়ন বাণিজ্য করে তারাই কেবল এর বিরোধিতা করে।

যুব সমাবেশে তিনি আরও বলেন, অতীতের কোনো নির্বাচনের সঙ্গে ২০২৬ সালের নির্বাচন মিলবে না। দেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ চলছে। নিবন্ধিত অনেক ইসলামী দল মিলে নতুন একটি মোর্চা তৈরি হয়েছে। ৫৪ বছরে মানুষ অনেক দল এবং অনেক প্রতীক দেখেছে। এবার ইসলামী দলসমূহের মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।


মাসুদ সাঈদী বলেন, আমরা রাজনৈতিক হানাহানি করি না, বিভেদের রাজনীতি করি না। আমাদের রাজনীতি উন্নয়নের, ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যের। ৫৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশি এখনো দারিদ্রসীমার নিচে বাস করছে। শিক্ষার হারও শতভাগ হয়নি। আমরা দুর্নীতিমুক্ত, সুখী ও সমৃদ্ধশালী, ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চাই।

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সম্প্রতি পিরোজপুরে একটি দলের উপজেলা কাউন্সিল অধিবেশনে নিজেদেরই কর্মীরা ভোটের ব্যালট বাক্স ছিনতাই করেছে। নিজেদের নেতার কাছেই তাদের কর্মীরা নিরাপদ নয়। যাদের কাছে দলের অভ্যন্তরীণ ভোট নিরাপদ নয়, তাদের কাছে জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট কীভাবে নিরাপদ থাকবে? এজন্যই জনগণের আস্থা জামায়াতে ইসলামীর প্রতিই রয়েছে।

তিনি তার পিতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমার পিতা দুর্নীতিবাজ ছিলেন না, তার সন্তানরাও দুর্নীতিবাজ নয়। আমরা তার প্রমাণ দিয়েছি। তিনি দুইবার সংসদ সদস্য ছিলেন, আমিও জিয়ানগর উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম। আমাদের বিরুদ্ধে এক টাকার দুর্নীতির অভিযোগও কেউ আনতে পারেনি।

সদর ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি ফেরদাউস হোসেন সোহাগের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আহাদুল ইসলাম নাঈমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জিয়ানগর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আলী হোসেন, সেক্রেটারি তৌহিদুর রহমান রাতুল, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাই, সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা খাইরুল বাশার, উপজেলা বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা কবির হোসেনসহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

Lading . . .