Advertisement

রুমিন ফারহানা আমাকে ধাক্কা দেন, তার গুণ্ডাবাহিনী লাথি মারে: এনসিপি নেতা

বাংলাদেশ বুলেটিন

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ।

আজ রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে নির্বাচন ভবনে বেশকিছু আসনের সীমানা সংক্রান্ত দাবি-আপত্তির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩। এক পর্যায়ে জেলার দুই আসনের লোকজনই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় তারা হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে ইসি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পরে আতাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার নির্বাচনী আসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ এবং বিজয়নগর নিয়ে। আমি এখানে শুনানিতে অংশ নেয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছি। এখানে একে একে অনেকেই শুনানিতে অংশগ্রহণ করছে, যুক্তিতর্ক তুলে ধরছে। আমি যখন কথা বলতে যাব, ওই মুহূর্তে রুমিন ফারহানা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। তার গুণ্ডাবাহিনী আমাকে টেনেহিঁচড়ে পায়ের নিচে ফুটবলের মতো লাথি-ঘুষি মারতে থাকে। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।’

এনসিপির এ নেতা বলেন, আমরা জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছি। আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সামনে আমাকে যেভাবে পায়ের নিচে লাথি মারা হয়েছে, যেভাবে পেটানো হয়েছে, আমার জামাকাপড় ছিঁড়ে গেছে—সবাই দেখেছেন। আমি বলতে চাই, এই বাংলাদেশের জন্য আমরা জীবন দেইনি, রক্ত দেইনি, যাতে গণতন্ত্র নষ্ট হয়। আমরা চেয়েছিলাম একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকবে, যেখানে সবাই যুক্তি-তর্ক তুলে ধরতে পারবে। কিন্তু আমি আমার কথা বলতেই পারলাম না।

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, আমি কোনো গুণ্ডা বদমাশের মেলা করিনি। করতে চাইলে করতে পারতাম। গুণ্ডা আনতে চাইলে গুণ্ডা আনা যায়, অসুবিধা হয় না। পাঞ্জাবি পরা একজন আমাকে ধাক্কা দিয়েছেন। তারপরে আমার লোক তো বসে থাকবে না। আমি তো একজন নারী। পরে যখন আমার লোকজনকে মারধর করেছে, আমার লোকজন জবাব দিয়েছে। সিম্পল। ধাক্কার বদলে তো ধাক্কা আসবেই, তাই না? সেটাই হয়েছে। নির্বাচনের আগে একটা সীমানা নিয়ে যদি এরকম আচরণ আমরা দেখি, তাহলে নির্বাচনে কী হবে?

বিএনপির এ নেত্রী বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো এখানে একটি মারামারি হয়েছে। আমি যেহেতু একজন আইনজীবী, আমি মনে করেছি আমার কেস আমি নিজেই প্রেজেন্ট করবো। সো, আমার কেস আমি প্রেজেন্ট করেছি। আমি আশা করেছিলাম নির্বাচন কমিশনের সম্মানের দিকে তাকিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এ যারা আছেন তারা গুণ্ডাপাণ্ডা নিয়ে কমিশনে ঢুকবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি দেখলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এর প্রার্থী সদলবলে ২০-২৫ জন মিলে গুণ্ডাপাণ্ডার মতো আচরণ করলেন। অত্যন্ত দুঃখজনক, অত্যন্ত লজ্জাজনক।

আরও পড়ুন

Lading . . .