সীমান্ত গান্ধী: পাকিস্তানের স্বাধীনতার বিরোধী ও 'আফগান এজেন্ট' বলা হত যাকে
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মানুষ তাকে 'খান সাহেব' বা 'বাদশাহ খান' নামে ডাকত। অনেকেই তাকে 'সীমান্ত গান্ধী' বা 'সারহাদি গান্ধী' নামেও স্মরণ করে থাকে।
ছয় ফুট চার ইঞ্চি উচ্চতা, টান টান পিঠ, দয়ালু চোখ এবং অহিংসার প্রচারক ছিলেন এই ব্যক্তি—খান আবদুল গাফফার খান।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাদশাহ খান উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে অহিংস আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
পশতুন বা পাঠানরা সাধারণত অহিংসার পথ বেছে নেয় না, কিন্তু বাদশাহ খানের অনুসারীরা অহিংসার পথে হেঁটেছিলো।
১৯৩০-এর দশকে তিনি শিবগ্রামে গান্ধীর সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছেন। তিনি বিখ্যাত বাঙালি কবি ও দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করতে শান্তিনিকেতনেও গিয়েছিলেন।
 ২৭ বছর জেল খাটেন
ভারতের বিখ্যাত কূটনীতিক নটবর সিং তাঁর বই 'ওয়াকিং উইথ লাইন্স: টেলস ফ্রম ডিপ্লোমেটিক পাস্ট'-এ লেখেন, 'কংগ্রেসের পাঁচজন নেতা ভারত ভাগের বিরোধিতা করেছিলেন'।
'তাদের মধ্যে ছিলেন গান্ধী, খান আবদুল গাফফার খান, জয়প্রকাশ নারায়ণ, রাম মনোহর লোহিয়া এবং মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।'
"১৯৪৭ সালের ৩১শে মে থেকে ২রা জুনের মধ্যে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং পাকিস্তানকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন সীমান্ত গান্ধী অনুভব করেন যে তাকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে।"
"ব্রিটিশ সরকার শুধু তাকে বহু বছর জেলে রাখেনি, স্বাধীনতার পর পাকিস্তান সরকারও তাকে জেলে রাখতে দ্বিধা করেনি।"
"নেলসন ম্যান্ডেলার মতো বাদশাহ খান, অর্থাৎ খান আবদুল গাফফার খান, তার জীবনের ২৭ বছর জেলে কাটিয়েছেন।"
"বাদশা খানকে ১৯২১ সালের ডিসেম্বরে পেশোয়ার জেলে রাখা হয়েছিল। লম্বা উচ্চতার কারণে তাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।"
বাদশাহ খান তার আত্মজীবনী 'মাই লাইফ অ্যান্ড স্ট্রাগল' এ লিখেছেন, "যখন আমি জেলের পোশাক পরতাম, তখন পাজামা শুধু আমার পায়ের হাঁটু পর্যন্ত আসত এবং কুর্তা (শার্ট) আমার নাভি পর্যন্তও পৌঁছাত না।"
"যখন আমি নামাজ পড়তে বসতাম, তখন আমার পাজামা প্রায়ই ছিঁড়ে যেত। আমার সেল উত্তর দিকে ছিল, তাই সেখানে কখনো সূর্যের আলো আসত না। প্রতি তিন ঘণ্টায় পাহারাদার বদল হত এবং তখন অনেক শব্দ হতো।"
 কিসা খোয়ানি বাজার
১৯৩০ সালে গান্ধী যখন লবণ আইন ভাঙার উদ্যোগ নেন, তখন এর বড় প্রভাব সীমান্ত প্রদেশে পড়ে।
ব্রিটিশ সরকার খান আবদুল গাফফার খান এবং তার কিছু সহচরকে পেশাওয়ার যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার করে ১৯৩০ সালের ২৩শে এপ্রিল।
এই খবর শুনে হাজার হাজার মানুষ চরসাদ্দা জেল ঘেরাও করে, যেখানে তাদের রাখা হয়েছিল। পুরো শহর রাস্তায় নেমে আসে।
গান্ধীর নাতি রাজ মোহন গান্ধী বাদশাহ খানের জীবনী 'গাফফার খান: নন-ভায়োলেন্ট বাদশাহ অফ দ্য পাখতুন' বইয়ে লিখেছেন, "সেই দিন পেশাওয়ারের কিসা খোয়ানি বাজার ও সীমান্ত প্রদেশে প্রায় ২৫০ জন পাঠান ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
"পাঠানরা সাধারণ উগ্র ও রাগী স্বভাবের হলেও সেদিন তারা কোনো প্রতিহিংসামূলক হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখাননি। এমনকি সেনাবাহিনীর গাড়োয়াল রাইফেলসের সৈন্যরাও নিরস্ত্র পাঠানদের উপর গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানায়"।
 স্বাধীনতার ১০ মাসের মধ্যে পাকিস্তানের জেলে
বিবিসি বাংলার সর্বশেষ খবর ও বিশ্লেষণ এখন সরাসরি আপনার ফোনে।
ফলো করুন, নোটিফিকেশন অন রাখুন
বিবিসি বাংলার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ বিবিসি বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল
১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি বাদশাহ খান পাকিস্তানের আইনসভার এক অধিবেশনে অংশ নেন এবং নতুন দেশ ও তার পতাকার প্রতি আনুগত্যের শপথ নেন।
পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা এবং আইনসভার প্রধান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তাকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান।
এই উপলক্ষে জিন্নাহ তাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, "আজ আমার মনে হচ্ছে যে আমার পাকিস্তান গঠনের স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে"।
১৯৪৮ সালের ৫ই মার্চ খান আবদুল গাফফার খান প্রথমবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ভাষণ দেন।
তিনি স্বীকার করেন, "আমি ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের বিরোধিতা করেছিলাম"।
তিনি দেশভাগের সময় সংঘটিত গণহত্যার প্রতি পার্লামেন্ট সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, কিন্তু এও বলেন যে, "এখন যেহেতু দেশভাগ হয়ে গেছে, তার পরে লড়াই করার আর কোনো সুযোগ নেই।"
বাদশাহ খান এবং পাকিস্তান সরকারের মধ্যে সমঝোতা বেশিদিন টেকেনি।
ব্রিটিশ সরকার চলে যাওয়ার ১০ মাসের মধ্যেই বাদশাহ খানকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে পশ্চিম পাঞ্জাবের মন্টগোমারি জেলে তিন বছরের জন্য পাঠানো হয়।
১৯৬১ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান তাকে আবার গ্রেপ্তার করে সিন্ধুর একটি জেলে পাঠান।
১৯৬১ সালের মধ্যে বাদশাহ খান 'বিশ্বাসঘাতক', 'দেশদ্রোহী', 'আফগান এজেন্ট' এবং পাকিস্তান সরকারের জন্য 'বিপজ্জনক' ব্যক্তি' হয়ে ওঠেন।
বাদশাহ খানের জন্য পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে তিনি পাকিস্তান ছেড়ে আফগানিস্তানে আশ্রয় নেন।
 কাবুলে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
১৯৬৯ সালে যখন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আফগানিস্তান সফরে যান, তখন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অশোক মেহতা বাদশাহ খানকে ইন্দিরা গান্ধীর সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান।
নটর সিংহ তার বইয়ে লেখেন, "বাইশ বছর পর ইন্দিরা গান্ধী আবদুল গফফার খানের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তাঁর বড় ছেলে রাজীব গান্ধী ও পুত্রবধূ সোনিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেন।
"সীমান্ত গান্ধী রাজীব গান্ধীকে জড়িয়ে ধরে বলেন, তিনি যখন দুই বছর বয়সী ছিলেন, তখন তাকে কোলে করে খাইয়েছিলেন।"
"নটর সিংহ লেখেন, 'পরদিন আমি বাদশাহ খানের বাসায় গেলাম, যেখানে তিনি ছিলেন। তিনি মেঝেতে বসে খাচ্ছিলেন। আমি তাকে বললাম, ইন্দিরা গান্ধী আপনার সুবিধা অনুযায়ী আপনার বাড়িতেই আপনাকে দেখতে আসতে চান"।
"তিনি আমাকে বললেন, 'ইন্দিরা গান্ধী এখানে আসবেন না, আমি নিজেই তার সঙ্গে দেখা করতে যাব।'"
"নির্ধারিত হয়, তিনি পরদিন বিকেল ৪টায় স্টেট হাউজে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।"
"নটর সিংহ লেখেন, "আমার তাকে দরজায় স্বাগত জানানোর কথা ছিল, কিন্তু আমি কয়েক সেকেন্ড দেরিতে পৌঁছাই। তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বলেন, তোমার সময়মত আসা উচিত ছিল।
"তার সময় মেনে চলার এই অভ্যাস আমার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ওই সাক্ষাতেই আবদুল গাফফার খান গান্ধীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ভারতে আসতে রাজি হন।"
 কাপড়ের পুঁটলি হাতে ভারতে
বাদশাহ খান ২২ বছর পর ভারতে আসছিলেন। তিনি তার পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে পৌঁছান। তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু কাবুলে পাকিস্তানি দূতাবাস তাতে মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং জয়প্রকাশ নারায়ণ তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন।
বাদশাহ খানের ভাতিজা মোহাম্মদ ইউনুস তার আত্মজীবনী 'পারসনস, পেশেন্টস অ্যান্ড পলিটিক্স'-এ লেখেন, 'যখন বাদশাহ খান কাপড়ের পুটলি হাতে নিয়ে প্লেন থেকে নামলেন, ইন্দিরা গান্ধী সেটি তার হাত থেকে নিতে চাইলেন। কিন্তু তিনি তা নিতে দেননি।'
তিনি বলেন, "আপনি এমনিতেই অনেক ভারী বোঝা বয়ে চলেছেন, আমাকে আমার অংশটা বহন করতে দিন।"
বাদশাহ খান যেখানে যেখানে গেছেন, তার কথা শোনার জন্য প্রচুর লোক জড়ো হত।
নটর সিংহও বাদশাহ খানের দিল্লি সফরের কিছু মজার ঘটনা তার লেখায় তুলে ধরেছেন।
তিনি লিখেছেন, "বাদশাহ খানকে বিমানবন্দর থেকে ছাদ খোলা গাড়িতে শহরে আনা হবে এবং প্রধানমন্ত্রী তার পাশে বসবেন। জয়প্রকাশ নারায়ণও সেই গাড়িতে বসতে চাইলেন কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী তা চাননি"।
নটর সিংহএ-ও লিখেছেন, "যখন ইন্দিরার নিরাপত্তা কর্মকর্তা জয়প্রকাশ নারায়ণকে গাড়িতে বসতে বাধা দেন, তখন শান্ত স্বভাবের জয়প্রকাশ নারায়ণ রেগে যান। কোনো ঝামেলা হতে পারে এই আশঙ্কায় আমি নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বলি তাকে গাড়িতে বসতে দিতে"।
 বাদশাহ খানের অভিযোগ: 'ভারত গান্ধীকে ভুলে গেছে'
বাদশাহ খান ভারতে আসার এক বা দুই দিনের মধ্যেই দেশটির অনেক জায়গায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়।
দাঙ্গা থামাতে তিনি তিন দিনের অনশন ঘোষণা করেন। এটি শুনে দাঙ্গা থেমে যায়।
১৯৬৯ সালের ২৪শে নভেম্বর তিনি পার্লামেন্টের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন।
পার্লামেন্টে সোজা ভাষায় তিনি বলেন, "আপনারা গান্ধীকে ভুলে যাচ্ছেন যেমনভাবে গৌতম বুদ্ধকে ভুলে গিয়েছিলেন।"
কয়েকদিন পর যখন তিনি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন, তিনি দ্বিধা না করে বলেন, "তোমার বাবা আর প্যাটেল আমাকে আর পাঠানদের নেকড়ের সামনে ছুঁড়ে ফেলেছিলো।"
রাজমোহন গান্ধী লিখেছিলেন, "ইন্দিরা গান্ধীর এই বিষয়টির প্রশংসা করা উচিত যে তিনি বাদশাহ খানের স্পষ্টবাদিতায় রাগ করেননি।
"ইন্দিরা গান্ধী কাবুলে নিযুক্ত সব ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বাদশা খানের চাহিদা পূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।"
 আফগানিস্তানে নির্বাসন
সত্তর দশকের শুরুর দিকে আফগানিস্তান সরকার তাঁকে জালালাবাদে থাকার জন্য একটি বাড়ি দেয়।
বাদশাহ খান সেই বাড়িতে বিছানার বদলে চারপাই নামক খাটিয়া ব্যবহার করতেন। তিনি শীতকালেও নিজের ঘরে না থেকে বাড়ির প্রথম তলার বারান্দায় ঘুমাতেন।"
যখন বিখ্যাত লেখক বেদ মেহতা তার সঙ্গে দেখা করতে যান, তখন তিনি অভিযোগের স্বরে বলেন, "ভারতে গান্ধীবাদ শেষ হয়ে গেছে।
"সেখানে গান্ধীকে ভুলে গেছে। আপনার সরকার ঠিক সেইসব কাজ করছে যেগুলোর বিরোধিতা গান্ধী করেছিলেন।"
 আফগানিস্তানে সোভিয়েত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা
প্রথমে বাদশাহ খান আফগানিস্তানে সোভিয়েত হস্তক্ষেপকে সমর্থন করলেও ১৯৮১ সালে যখন তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে আসেন, তখন তিনি সোভিয়েতের উপস্থিতির বিরুদ্ধে চলে যান।
তিনি ইন্দিরা গান্ধীর কাছে অনুরোধ করেন যেন তিনি সোভিয়েত নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেন।
ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জে এন দিকসিত তার বই 'অ্যান আফগান ডায়েরি'তে লেখেন, "বাদশাহ খান ব্রেজনেভের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন, এবং তাকে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সৈন্য প্রত্যাহার করার অনুরোধ করতে চেয়েছিলেন।
"ইন্দিরা গান্ধী শুরুতে দ্বিধায় ছিলেন। তিনি ভাবতেন, সোভিয়েতরা এই অনুরোধ গ্রহণ করবে না এবং রেগে যাবে। পাশাপাশি তিনি মনে করতেন আফগানিস্তানে সোভিয়েতদের কিছু সময়ের উপস্থিতি ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে নয়।
"কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী বেশিদিন বাদশাহ খানের চাপ উপেক্ষা করতে পারলেন না।"
জে এন দিকসিত লেখেন, "ইন্দিরা গান্ধী বাদশাহ খানের বার্তা সোভিয়েত রাষ্ট্রদূত ভোরোনৎসভ ও সোভিয়েত উপ-রাষ্ট্রপতি ভাসিলি কুজনিতসোভকে পৌঁছে দেন, যারা তখন ভারতে সফরে ছিলেন।
যখন আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে আসেন, তখন তিনি তাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন যে তারা সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহারে কী করছে।
 শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী ও জিয়াউল হক
খান আবদুল গাফফার খান আবারও ভারতে আসেন ১৯৮৭ সালে, যেখানে তাকে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান 'ভারতরত্ন' দেওয়া হয়।"
বাদশাহ খান ৯৮ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালের ২০শে জানুয়ারি সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার শেষ ইচ্ছা ছিল যেন তাকে আফগানিস্তানের জালালাবাদ শহরে তার বাড়ির উঠোনে কবর দেওয়া হয়।
সীমান্ত গান্ধীর প্রায় ২০ হাজার ভক্ত পাকিস্তানের আতমানজাই থেকে তার জানাজায় অংশ নিতে মিছিল করে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেন এবং কোনো পাকিস্তানি পাসপোর্ট বা আফগান ভিসা ছাড়াই ডুরান্ড সীমান্ত পার হন।
গাড়ি, ট্রাক আর বাসের একটি দীর্ঘ বহর তাদের সঙ্গে ছিল। জালালাবাদে সেই মিছিলে আরও কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেন।
তার শেষকৃত্যে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউল হক এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী দুজনেই উপস্থিত ছিলেন।


