আমাদের আচরণে জনগণ অসন্তুষ্ট হলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে: নজরুল ইসলাম খান
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট, ২০২৫

বিএনপি নেতা–কর্মীদের আচরণে জনগণ অসন্তুষ্ট হলে তাতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ যেকোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর আচরণে যদি অসন্তুষ্ট হয়, জনগণ ভীতসন্ত্রস্ত হয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গোটা দল। আর গোটা দল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মানে শহীদ জিয়া অসম্মানিত হওয়া, বেগম খালেদা জিয়া অসম্মানিত হওয়া, তারেক রহমান অসম্মানিত হওয়া।’
বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালামের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এই সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
এ সময় নজরুল ইসলাম খান নেতা–কর্মীদের বলেন, ‘আপনাদের একেবারে বিনীতভাবে অনুরোধ করব যে নিজেরা এমন কাজ করবেনই না, অন্য কেউ করলে সেটাকে বাধা দেবেন। আর না হলে অনভিপ্রেত সিচুয়েশন (পরিস্থিতি) হতে পারে।’
আসন্ন নির্বাচনকে কেউ কেউ পেছানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘সামনে একটা নির্বাচন আসছে, কেউ কেউ হয়তো পেছানোর চেষ্টা করতেছে। নির্বাচনে আমাদের তো জনগণের কাছে যেতে হবে। দলকে মর্যাদাবান করতে হবে। তাহলে শুধু আমরা ব্যক্তির কল্যাণের জন্য কাজ করতে পারব।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘ব্যক্তি অধিক গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে ব্যক্তি দল গঠন করে এবং দলই রাষ্ট্রের কল্যাণ করতে পারে। সে জন্য আমাদের ব্যক্তিজীবনে যা কিছু করা প্রয়োজন, শুধু সেটা করা। যেটা করা অনুচিত, যেটা করা দল বা দেশের স্বার্থবিরুদ্ধ, সেটা না করা। এটাই সালাম তালুকদারের শিক্ষা ছিল।’
বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালামের স্মৃতিচারণা করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থেকে জীবন বাজি রেখে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আবদুস সালাম তালুকদার। তাঁর অবদান বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকে সামরিক শাসক এরশাদকে পদত্যাগে বাধ্য করার সময় সালাম তালুকদার ছিলেন খালেদা জিয়ার অন্যতম ভরসা। তাঁর অবদান আজ নতুন করে স্মরণ করার সময় এসেছে।’
আবদুল মঈন খান আরও বলেন, বিএনপির ইতিহাসে সালাম তালুকদার শুধু একজন সংগঠক ছিলেন না, তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের অগ্রসৈনিক।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন, বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক নিলোফার চৌধুরী, বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুল হালিম ও আবদুস সালাম তালুকদারের পরিবারের সদস্যরা।