বাহাত্তরের সংবিধানের সকল জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি: নাহিদ ইসলাম
প্রকাশ: ২৪ জুলাই, ২০২৫

‘গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে বিভাজিত করে রাখা হয়েছিল, যার বড় শিকার হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম।
পার্বত্য চট্টগ্রামে নানা অশান্তি নানা বিভাজন জিইয়ে রেখে অন্য একটি পক্ষ বারবার সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে, আমরা আর এই তৃতীয় পক্ষকে সুবিধা নিতে দিব না। আমাদের মধ্যে, সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যদি কোন সমস্যা থাকে, আমরা নিজেরাই সমাধান করব, অন্যকোন পক্ষকে সুযোগ নিতে দিব না, এজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।বাংলাদেশ খাবার ডেলিভারি‘গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে বিভাজিত করে রাখা হয়েছিল, যার বড় শিকার হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম।
রোববার (২০ জুলাই) রাঙামাটিতে পদযাত্রা শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
দুপুরে একটা দিকে এনসিপির নেতা-কর্মীরা রাঙামাটি পৌঁছে শিল্পকলা একাডেমি থেকে পদযাত্রা শুরু করে বনরূপা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব সামান্তা শারমীন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ্। এসময় উপস্থিত ছিলেন নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি, রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তংচঙ্গ্যাসহ নাগরিক পার্টি বিভিন্নস্তরের নেতা-কর্মীরা।
নাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা বাহাত্তরের যে মুজিবাদী সংবিধানের বিরুদ্ধে বলে আসতেছি, যে সংবিধানে সকল জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, বাঙালী জাতীয়তাবাদের নামে অবাঙালি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বিভেদ তৈরি করে রাখা হয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ইসলামের সঙ্গে অন্যধর্মের বিভেদ তৈরি করা হয়েছে। আমরা সকল বিভেদের ঊর্ধ্বে গিয়ে, সকল জনগোষ্ঠীকে মর্যাদা দিয়ে একটি সংবিধান রচনা করতে চাই। রাঙামাটির নেতা এমএনলারমা বাহাত্তরের সংবিধানের বিরোধিতা করেছিলেন। আমরা চাই মুজিববাদী সংবিধানকে বাতিল করে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করতে। নতুন একটি চুক্তি আমরা করব, যেখানে আপনার অধিকার, আমার অধিকারও থাকবে। পাহাড়ে যে অশান্তি, যে বিভেদ বছরের পর বছর জিইয়ে রাখা হয়েছে, সেই অশান্তি ও বিভেদকে দূর করতে হবে।’
সমাবেশ শেষে দ্রুতই সভাস্থল ত্যাগ করেন নাগরিক কমিটির নেতারা। অন্যদিকে এনসিপির নেতা নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি রাঙামাটি আগমনের কারণে জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে যাওয়ার সময় কাঠালতলী মোড়ে পুলিশ আটকে দেয়। এসময় সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে নেতা-কর্মীরা। তারা এনসিপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
এদিকে শহরের বনরুপায় এনসিপির সমাবেশ শুরু আগেই শহরের সকল যানবাহন বন্ধ করা হয়। এসময় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে গাড়ি চলাচল না করায় ভোগান্তিতে পড়ে। শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকায় পুলিশ তাদের দ্রুত সমাবেশ স্থল থেকে সরিয়ে দেয়।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. সাব্বির আহম্মেদ বলেন, এভাবে সমাবেশর জন্য সড়ক বন্ধ করে রাখার কারো অধিকার নেই। সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থী এবং পরীক্ষার্থীরা চলাচল করতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, এনসিপি নেতা নাসিরউদ্দিনকে তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরের প্রতিটি মোড়ে বড়তি পুলিশ বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
আরও পড়ুন