কক্সবাজারে শহিদ পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করলো জাতীয় নাগরিক পার্টি
প্রকাশ: ১ জুলাই, ২০২৫

কক্সবাজার প্রতিনিধি: ঈদুল আজহার প্রথম দিনে শহিদ পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), কক্সবাজার জেলা শাখা। ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক ‘জুলাই বিপ্লব’-এ শহিদ হওয়া পাঁচজন বীর সন্তান এবং আহত হওয়া ৩০ জনের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে ঈদের দিন সকালে কুরবানির মাংস তাঁদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এই মানবিক কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এ এস এম সুজা উদ্দিন এবং কক্সবাজার জেলা সংগঠক খালিদ বিন সাঈদ। তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠপর্যায়ে নেতৃত্ব দেন যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক আসিফ মোহাম্মদ বাপ্পি এবং এনসিপির জেলা সংগঠক সাঈদ স্বাধীন।
এদিন শহিদ ওয়াসিম, শহিদ আহসান হাবিব, শহিদ নুরুল মোস্তফা এবং শহিদ নুরুল আমিনের পরিবারের কাছে কুরবানির মাংস পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়া মহেশখালীর কালামারছড়ায় শহিদ তানভির ছিদ্দিকীর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন এ এস এম সুজা উদ্দিন।
এই সময় তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (সিবিআইইউ) শাখার সদস্য সচিব সাজ্জাদ হোসাইন, এনসিপি মহেশখালী উপজেলার সংগঠক মাহবুব আলমসহ আরও অনেকে।
শহিদ তানভিরের পিতা সরকারের কাছে শহিদ পরিবারগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমরা রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চাই, যাতে আমাদের সন্তানের আত্মত্যাগ সম্মান পায় এবং নতুন প্রজন্ম সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে।”
অন্যান্য শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকেও দ্রুততম সময়ে ‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার এবং ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের জোর দাবি জানানো হয়। তাঁরা দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, “আমাদের সন্তানদের রক্ত যেন বৃথা না যায়। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
এই মানবিক উদ্যোগ শহিদ পরিবারের মুখে ঈদের হাসি ফোটাতে সহায়ক হয় এবং ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের লড়াইকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
আরও পড়ুন