রাজশাহী-১ আসনে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন ব্যারিস্টার মিলন
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন আগামী নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার রাতে রাজশাহীর একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ব্যারিস্টার মিলন নির্বাচনে অংশগ্রহণের আশা ব্যক্ত করেন।
ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলনের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মহিষালবাড়িতে। পড়াশোনা করেছেন দেশে ও বিদেশে। তিনি প্রয়াত বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের নিকটাত্মীয় বলে জানা গেছে।
ব্যারিস্টার মিলন জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। পাশাপাশি নিজ এলাকা গোদাগাড়ী ও তানোরের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোরের সর্বস্তরের মানুষসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নে ও তাদের সহায়তায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। দেশ ও এলাকার মানুষের উন্নয়নে বৃহত্তর পরিসরে অবদান রাখতেই তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে দুই উপজেলা গোদাগাড়ী ও তানোরের সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা আমার কাছে সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি চাই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রাজনীতি হবে সেবার মাধ্যমে, ক্ষমতার নয়। তানোর-গোদাগাড়ী এলাকার মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করাই আমার একমাত্র অঙ্গীকার হবে। আমি জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সর্বাত্মক ভূমিকা গ্রহণ করতে পারব।’
ব্যারিস্টার মিলন আরও বলেন, সর্বস্তরে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করা, গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় তিনি সবসময় কাজ করে যাব। এজন্য সাংবাদিক সমাজকেও সহযোগীতার জন্য পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি। প্রচলিত রাজনীতির ভেতরেই জনগণের কল্যাণই হবে তার রাজনীতির মূল কেন্দ্রবিন্দু।
মতবিনিময় সভায় রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। তারা ব্যারিস্টার মিলনের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং এলাকার উন্নয়নসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা তার কাছে তুলে ধরেন। সভায় গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, রাজনীতির মূলধারা যেন স্বচ্ছ থাকে, এবং সৎ ও শিক্ষিত মানুষ রাজনীতিতে আসলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে। এ ধরনের উদ্যোগ জনগণের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেবে। মতবিনিময় সভা শেষে ব্যারিস্টার মিলন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং স্থানীয় উন্নয়ন ইস্যুতে তার আগামীর পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।