Advertisement

২ কোটি ৬০ লাখ বছরের পুরোনো তিমির খুলির খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

তিমিফাইল ছবি: রয়টার্স
তিমিফাইল ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার জান জুক সৈকতে ২ কোটি ৬০ লাখ বছরের পুরোনো একটি তিমির খুলির জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় ও ভিক্টোরিয়া জাদুঘরের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের দাবি, জীবাশ্মটি জানজুসেটাস ডুলারডি নামের এক প্রজাতির তিমির। অলিগোসিন যুগের তিমিটি ছোট কিন্তু ভয়ংকর শিকারি প্রাণী ছিল। ম্যামলোডোন্টিড বংশের এই প্রজাতির তিমি প্রাচীন মহাসাগরে বিচরণ করত। সম্প্রতি লিনিয়ান সোসাইটির জুওলজিক্যাল সাময়িকীতে এ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, তিমিটির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৭ ফুট। আধুনিক বেলিন তিমির বিপরীতে জানজুসেটাসের ধারালো দাঁত ও বড় চোখ ছিল। সেই তিমি মাছ ও স্কুইডকে শিকার করত। জীবাশ্মটি বেশ ভালোভাবে সংরক্ষিত ছিল। ফলে মাথার খুলি, কানের হাড় ও দাঁত ঠিকমতো রয়েছে। এই প্রজাতির তিমি স্থল-বাসকারী তিমির পূর্বপুরুষ ও সম্পূর্ণ জলজ তিমির মধ্যকার বিভিন্ন তথ্য ধারণ করছে। আর তাই প্রাগৈতিহাসিক সময়ে মহাসাগরের জীবন কেমন ছিল, তা জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০১৯ সালে জীবাশ্ম নিয়ে উৎসাহী রস ডুলার্ড নামের এক ব্যক্তি প্রথম এই জীবাশ্মের খোঁজ পান। প্রাচীন সামুদ্রিক পলিতে মিশে ছিল জীবাশ্মটি। এরপর জীবাশ্মটি বিশ্লেষণ করেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে, ২ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে উষ্ণ ও উপ-ক্রান্তীয় সমুদ্রে শক্তিশালী শিকারি হিসেবে এই প্রজাতির তিমিগুলো বিচরণ করত। অতীতে তিমি স্থল স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে জলজ শিকারি হিসেবে অভিযোজিত হয়েছিল।

তিমির জীবাশ্ম বেশ বিরল। তিমির খুলি খুব কমই সংরক্ষিত হয় বলে আদি পরিবেশ জানার সুযোগ থাকে না। জানজুসেটাস ডুলারডির জীবাশ্ম ভালোভাবে সংরক্ষিত থাকায় ভবিষ্যতে তিমি সম্পর্কে অনেক তথ্য জানার সুযোগ পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Lading . . .