ধৈর্য রাখলেই হয়ে যায়, ধৈর্যহারা হলে হবে না...
প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বিরতি নিয়েছিলেন কেন?
বিরতি নিয়েছিলেন কেন?
নওবা তাহিয়া : আমার পরীক্ষা চলছিল। ফলে কাজ থেকে বিরতি নিতে হয়েছিল। সর্বশেষ ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প ‘কন্ট্রোল প্লাস জেড’-এ কাজ করেছিলাম। গত ২৫ আগস্ট শুটিং শুরু করেছি।
নওবা তাহিয়া : আমার পরীক্ষা চলছিল। ফলে কাজ থেকে বিরতি নিতে হয়েছিল। সর্বশেষ ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প ‘কন্ট্রোল প্লাস জেড’-এ কাজ করেছিলাম। গত ২৫ আগস্ট শুটিং শুরু করেছি।
প্রথম আলো :
প্রথম আলো : বিরতি কেমন কাটল?
নওবা তাহিয়া : আমার জীবনে সব সময়ই পড়াশোনার প্রায়োরিটি (অগ্রাধিকার) ছিল। আবার অভিনয় আমার পেশা, অভিনয় থেকে দূরে থাকতে অবশ্যই কষ্ট হয়েছে। পড়াশোনাটা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। জীবনের প্রতিটি ধাপই ঠিকমতো পার করতে হবে। বিরতির মধ্যে অনেক ভালো কাজের প্রস্তাব পেয়েছি, সময়ের জন্য করতে পারিনি। ঈদুল ফিতরের পর থেকে বিরতিতে আছি। সেই ঈদে অনেক কাজ করেছিলাম। সেখান থেকে অভিনয়শিল্পী হিসেবে একটা ব্রেক (বিরতি) দরকার ছিল। না হলে হয়তো একঘেয়েমি চলে আসত। সেই জায়গা থেকে মনে হয়েছে, বিরতি নেওয়াই যায়।
একই সঙ্গে পড়াশোনা ও অভিনয়—দুইয়ের ভারসাম্য রাখেন কীভাবে?
একই সঙ্গে পড়াশোনা ও অভিনয়—দুইয়ের ভারসাম্য রাখেন কীভাবে?
নওবা তাহিয়া : দুটিকে গুলিয়ে ফেলি না। কাজের সময় কাজ, পড়াশোনার সময় পড়াশোনা। অভিনয়ে আমাদের অনেক সময় দিতে হয়। সকাল নেই, রাত নেই—ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে হয়। অভিনয়ের বাইরের সময়টুকু পড়াশোনা করি। অভিনয় ও পড়াশোনা—দুটোই করতে ভালোবাসি, ফলে ব্যালান্স (ভারসাম্য) করে নিই। ধৈর্য রাখলেই হয়ে যায়, ধৈর্যহারা হলে হবে না।
নওবা তাহিয়া : দুটিকে গুলিয়ে ফেলি না। কাজের সময় কাজ, পড়াশোনার সময় পড়াশোনা। অভিনয়ে আমাদের অনেক সময় দিতে হয়। সকাল নেই, রাত নেই—ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে হয়। অভিনয়ের বাইরের সময়টুকু পড়াশোনা করি। অভিনয় ও পড়াশোনা—দুটোই করতে ভালোবাসি, ফলে ব্যালান্স (ভারসাম্য) করে নিই। ধৈর্য রাখলেই হয়ে যায়, ধৈর্যহারা হলে হবে না।
প্রথম আলো :
প্রথম আলো :বিরতির পর কী কী নাটক করলেন?
নওবা তাহিয়া : তিনটি নাটক করেছি। নাটকগুলো হলো ‘দেয়াল’, ‘শেষ চিঠি’ ও ‘প্রতীক্ষা’। ‘দেয়াল আর ‘শেষ চিঠি’তে আমার সহশিল্পী পার্থ শেখ। ‘প্রতীক্ষা’ নাটকে প্রান্তর দস্তিদার। বিরতির বেশ আগে শ্রাবণী ফেরদৌসের যদি হারিয়ে যাই নামে একটি নাটক করেছিলাম, সেটি এই সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে।
প্রথম আলো :কেউ কেউ বলছেন, টিভি নাটক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে...
কেউ কেউ বলছেন, টিভি নাটক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে...
নওবা তাহিয়া : আমি তো দেখছি অনেক নাটক হচ্ছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো নাটক রিলিজ হচ্ছে। আমার মনে হয়, আমাদের নাটকের ইন্ডাস্ট্রিটা খুবই রিচ (সমৃদ্ধ)। দর্শকেরা বাংলা নাটক দেখেন, সাপোর্ট করেন। কাজ অনেক হচ্ছে, কাজের কোয়ালিটিও ভালো হচ্ছে। তবে কাজের মান হয়তো আরও উন্নত করার জায়গা রয়েছে।
নওবা তাহিয়া : আমি তো দেখছি অনেক নাটক হচ্ছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো নাটক রিলিজ হচ্ছে। আমার মনে হয়, আমাদের নাটকের ইন্ডাস্ট্রিটা খুবই রিচ (সমৃদ্ধ)। দর্শকেরা বাংলা নাটক দেখেন, সাপোর্ট করেন। কাজ অনেক হচ্ছে, কাজের কোয়ালিটিও ভালো হচ্ছে। তবে কাজের মান হয়তো আরও উন্নত করার জায়গা রয়েছে।
প্রথম আলো :
প্রথম আলো :ওটিটির কাজে পরিচিতি পেলেও আপনাকে ওটিটিতে দেখা যায় না কেন?
নওবা তাহিয়া : অনেকেই আমাকে প্রশ্নটা করেন, কেন আমাকে ওটিটিতে দেখা যায় না। আমাকে এখন পর্যন্ত কেউ সেভাবে আপ্রোচ (প্রস্তাব) করেনি। শিগগিরই ওটিটিতে আমার একটা কাজ আসছে।
প্রথম আলো :অভিনয়ে নিজেকে কোথায় নিতে চান?
অভিনয়ে নিজেকে কোথায় নিতে চান?
নওবা তাহিয়া : আমাকে এমন কোথাও দেখতে চাই না, যেখানে আমার দর্শকেরা আমাকে দেখতে চায় না। আমার দর্শকের ভালোবাসা আমাকে যেখানে নিয়ে যাবে, আমি সেখানে নিজেকে দেখতে চাই। অবশ্যই কোয়ালিটি কনটেন্ট করতে চাই।
নওবা তাহিয়া : আমাকে এমন কোথাও দেখতে চাই না, যেখানে আমার দর্শকেরা আমাকে দেখতে চায় না। আমার দর্শকের ভালোবাসা আমাকে যেখানে নিয়ে যাবে, আমি সেখানে নিজেকে দেখতে চাই। অবশ্যই কোয়ালিটি কনটেন্ট করতে চাই।