গরমে এসি স্বস্তি এনে দেয় জীবনে। তবে যারা এসি ব্যবহার করতে চান না তারা কম খরচে এয়ার কুলার কিনতে পারেন। এয়ার কুলার গরমকালে খুবই কার্যকর একটি যন্ত্র, বিশেষ করে যেখানে এসি ব্যবহার করা সম্ভব নয় বা ব্যয়বহুল।

তবে এসির মতো বর্ষায় এয়ার কুলার চালাতে আপনাকে কিছু সতর্কতা বা কৌশল মানতে হবে। এতে একদিকে যেমন এয়ার কুলার থেকে ঠিকমতো বাতাস পাবেন অন্যদিকে দীর্ঘদিন এয়ার কুলার ভালোও রাখতে পারবেন। এমনকি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করেও ভালো পারফরম্যান্স দেবে।

বর্ষার সময় বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা বেড়ে যায়। এয়ার কুলার কাজ করে পানি বাষ্পীভবনের মাধ্যমে, অর্থাৎ পানি বাতাসে বাষ্প হয়ে ঠান্ডা বাতাস তৈরি করে। কিন্তু বাতাসে যদি আগেই প্রচুর আর্দ্রতা থাকে, তাহলে পানি সহজে বাষ্পীভূত হয় না এবং কুলিং কমে যায়।

আসুন জেনে নেওয়া যাক বর্ষাকালে এয়ার কুলার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম-

এয়ার কুলার ব্যবহারের সময় ঘরের জানালা বা দরজা খানিকটা খোলা রাখা খুবই জরুরি। এতে করে ঘরের ভেতরের স্যাঁতসেঁতে বাতাস বেরিয়ে যায় এবং বাইরের তুলনামূলক শুষ্ক বাতাস ভিতরে প্রবেশ করে। এতে কুলিং ভালো হয়।

বাতাসের আর্দ্রতা কমাতে ডিও-হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে কুলার ভালো কাজ করে। অনেক ক্ষেত্রে কুলারের পাশে একটি ছোট ডিও-হিউমিডিফায়ার বসিয়ে দিলে বাতাসে আর্দ্রতা কমে এবং কুলিং ক্ষমতা বাড়ে।

বর্ষাকালে কুলিং এফেক্ট বাড়াতে কুলারের পানির ট্যাঙ্কে ঠান্ডা পানি বা বরফ ব্যবহার করলে কিছুটা স্বস্তিদায়ক বাতাস পাওয়া যায়।

বর্ষাকালে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বেশি হয়। তাই প্রতি সপ্তাহে কুলারের পানির ট্যাঙ্ক ও প্যাড পরিষ্কার করা উচিত।প্যাডগুলো হালকা ডিটারজেন্ট ও হালকা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করুন। পানির ট্যাঙ্কে যেন জমে থাকা পানি না থাকে। ছাঁচ বা দুর্গন্ধ দেখা দিলে তা সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করুন।

বর্ষাকালে বিদ্যুৎ ওঠানামা বেশি হয়। তাই ইনভার্টার বা ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করলে কুলার দীর্ঘদিন ভালো থাকে এবং সার্কিট নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমে।

বাজারে কিছু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল কুলার ক্লিনার বা লিকুইড পাওয়া যায় যা পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে জীবাণু ও দুর্গন্ধ কমে। এটি প্যাডের লাইফও বাড়ায়।

কুলারের ফ্যান বা ব্লোয়ারে ধুলা জমে গেলে বাতাস কম বের হয়। তাই বর্ষা শুরুর আগে এগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া