Advertisement

ফোন নম্বর ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে বিটচ্যাট অ্যাপ

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ১৬ জুলাই, ২০২৫

ফোন নম্বর ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে বিটচ্যাট অ্যাপ
ফোন নম্বর ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে বিটচ্যাট অ্যাপ

হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবেই মনে করা হচ্ছে এই অ্যাপকে। বিটচ্যাট এরই মধ্যে সবার মুখে মুখে। মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার, বর্তমানে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন এক্স। সেই টুইটারের উদ্ভাবক জ্যাক ডরসির হাত ধরেই এবার বাজারে আসছে নতুন মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম বিটচ্যাট।

নতুন অ্যাপে জ্যাক তার নতুন উদ্ভাবন কাজে লাগিয়েছেন। পিয়ার টু পিয়ার নতুন এই অ্যাপ মূলত ‘ডিসেন্ট্রালাইজড’ মেসেজিং অ্যাপ। সহজে বললে, এই অ্যাপে কেউ নজরদারি চালাতে পারবে না। এমনকি অ্যাপও না। তৃতীয় কোনো পক্ষ, এমনকি প্রস্তুতকারী সংস্থার কারো কাছে মেসেজের অ্যাকসেস থাকবে না।

নতুন এই অ্যাপ চলবে ফোন নম্বর বা কোনো ইমেল আইডি ছাড়াই। এছাড়া এই অ্যাপের আরেকটি সবচেয়ে বড় গুণ, ইন্টারনেট ছাড়াই চলতে পারবে। ব্লুটুথ নির্ভর এই মেসেজিং অ্যাপ ‘অফ-গ্রিড কমিউনিকেশন’ ব্যবহার করবে। তবে মেসেজ প্রাপককে থাকতে হবে প্রেরকের ৩০০ মিটারের মধ্যে। টরেন্ট যেভাবে দুই প্রান্তের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান-প্রদান করে সেভাবেই বিটচ্যাট ডাটা লেনদেন করবে।

জানা যাচ্ছে স্টোর অ্যান্ড ফরোয়ার্ড মডেল হিসেবে কাজ করবে এই প্ল্যাটফর্ম। যতক্ষণ সেই ইউজার ‘অ্যাভলেবল’ থাকবেন ততক্ষণ মেসেজটি সেখানে স্টোর থাকবে। আর এক্ষেত্রে মেসেজ চালাচালি করতে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ থাকার দরকারই নেই। পাশাপাশি এক্ষেত্রে মেসেজ থাকবে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড’। আর মেসেজ পাঠাতে কোনো ফোন নম্বর কিংবা ই-মেইল অ্যাড্রেস, কিছুই লাগবে না।

বিটচ্যাটের প্রতিষ্ঠাতার দাবি, দুটি ডিভাইসের ব্লুটুথকে ব্যবহার করে এই অ্যাপের মাধ্যমে মেসেজ লেনদেন করা যাবে। লাগবে না সেলুলার ডাটা বা ওয়াই-ফাই। যিনি মেসেজ পাঠাচ্ছেন ও যিনি মেসেজটি পাচ্ছেন এই দুজন ছাড়া কোনো সেন্ট্রাল সার্ভারে মেসেজ স্টোর থাকবে না। কিছু সময় পরে মেসেজটি নিজেই মুছে যাবে, কাউকে ম্যানুয়ালি মুছে ফেলতে হবে না।

এখানে জ্যাক ‘স্টোর অ্যান্ড ফরোয়ার্ড’, রিলে, ব্রিজ ডিভাইস ও এনক্রিপশন প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েছেন। ব্যবহারকারী যখন চলাফেরা করেন, তখন তার ডিভাইস নিজে থেকেই ‘ব্লুটুথ ক্লাস্টার’ তৈরি করে এবং মেসেজ অন্যদের কাছে পৌঁছে দেয়-পুরো প্রক্রিয়াই অফ-গ্রিড! অ্যাপটিতে ‘রুম’ বা গ্রুপ চ্যাটের সুবিধা আছে, যা হ্যাশট্যাগ ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত করা যায়।

আরও পড়ুন

সূত্র: দ্য ভার্জ

Lading . . .