Advertisement

চোখের পলকে ডাউনলোড হবে ফাইল-ভিডিও

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ১৬ জুলাই, ২০২৫

চোখের পলকে ডাউনলোড হবে ফাইল-ভিডিও
চোখের পলকে ডাউনলোড হবে ফাইল-ভিডিও

‘বাফারিং’ শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নন এমন মানুষ বোধহয় খুঁজেই পাওয়া যাবে না। একটা গান কিংবা ফাইল ডাউনলোড করতে যে সময় লেগে যায় সেই সময়ে অনেক কাজই করে নেওয়া যায়। তবে পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো ‘বাফারিং’ শব্দটি খুঁজে পেতে পারে অভিধানে।

কারণ ডাউনলোডের ক্ষেত্রে বাফারিংয়ের অভিজ্ঞতা তাদের আর হবে না। অন্তত বিশেষজ্ঞরা জাপানের সাম্প্রতিক আবিষ্কার সম্পর্কে তেমনটাই ধারণা করছেন। জাপান আবিষ্কার করে ফেলেছে এক দারুণ জিনিস, যাকে ম্যাজিক বললেও কমই বলা হবে।

১.০২ পেটাবাইটস/সেকেন্ড এই স্পিডের ইন্টারনেট পরিষেবা আগামী দিনে পাওয়া যাবে, এমন সম্ভাবনাই দেখিয়েছেন জাপানের গবেষকরা। গত জুন, ২০২৫ জাপানের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (এনআইসিটি) প্রযুক্তির ময়দানে কার্যত নিঃশব্দে একটা বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে।

বিশ্বের ইন্টারনেট স্পিডের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন এই প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা। ডাটা ট্রান্সমিট করেছেন ১.০২ পেটাবাইটস পার সেকেন্ডে, যার অর্থ হলো প্রতি সেকেন্ডে ১০২০০০০ গিগাবাইট ডাটা ট্রান্সমিট করা সম্ভব হবে।

ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে ডাউনলোড করতে বসে ঝক্কি সামলাতে হয়নি, এ বিশ্বে এমন মানুষের সংখ্যা হাতেগোনা। একবার না একবার ঝামেলায় পড়তে হবেই আপনাকে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডাউনলোড মানেই বিষয়টা মারাত্মক সময়সাপেক্ষ। অনেকেই হয়তো মনে মনে ভাবেন আহা যদি এমন হতো যে চোখের পলক ফেলার আগেই গান, সিনেমা, ভিডিও, অডিও, গেম - সব ডাউনলোড হয়ে যেত সেই স্বপ্নই হয়তো ভবিষ্যতে পূরণ হতে চলেছে।

১.০২ পেটাবাইটস/সেকেন্ড এই স্পিডের ইন্টারনেট পরিষেবার সাহায্যে ঠিক কী কী কাজ কত তাড়াতাড়ি হতে পারে? গবেষণা অনুসারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন-ধরুন একটা গেমিং অ্যাপে থাকা যাবতীয় গেম ১০ সেকেন্ডের কম সময়ে ডাউনলোড হয়ে যাবে। এইসব গেম কিন্তু যথেষ্ট ভারী মাত্রার ভিডিও গেম হবে।

নেটফ্লিক্সের সব কনটেন্ট, মানে যা আছে, সব চোখের পলক ফেলার আগে, বলা ভাল অ্যাপ খুলতে যত সময় লাগে, তার থেকেও কম সময়ে ডাউনলোড হয়ে যাবে। এই ইন্টারনেটের স্পিড এতই বেশি হবে যে ১০ মিলিয়ন ভিডিও একসঙ্গে চালানো যাবে আর এই ভিডিওগুলি সব আলট্রা এইচডি ৮কে রেজোলিউশনের ভিডিও হলেও অসুবিধা হবে না।

বলা হচ্ছে ইংরেজি ভাষায় উইকিপিডিয়ার পরিমাপ প্রায় ১০০ জিবি। ১.০২ পেটাবাইটস/সেকেন্ড এই স্পিডের ইন্টারনেট পরিষেবার সাহায্যে ইংরেজি ভাষায় থাকা উইকিপিডিয়ার তথ্য প্রায় ১০ হাজার বার ডাউনলোড করতে পারবেন মাত্র ১ সেকেন্ডে।

তবে এখনই এই সুবিধা পাচ্ছেন না। এর জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। প্রযুক্তির সবচেয়ে বেশি ব্যবহার এবং আবিষ্কার জাপানে। বলা হয়ে থাকে বর্হিবিশ্ব যেখানে ২০২৫ এ আছে সেখানে জাপান বাস করছে ২০৫০ সালে। জাপানের প্রযুক্তি এতোটাই এগিয়ে আছে সবার থেকে।

Lading . . .