কত ইঞ্চি হিল আদর্শ, দিনে কয় ঘণ্টা পরা যাবে
প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

উঁচু হিল ব্যবহারের কারণে অনেকেরই গোড়ালি বা পায়ে ব্যথা হয়। হিল পরে হাঁটাচলার সময় দেহ বেঁকে থাকার ফলে কোমর, পিঠ ও ঘাড়েও ব্যথা হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে কোমরের ব্যথা নামতে পারে পায়ের দিকেও।
তা ছাড়া এভাবে বাঁকা হয়ে হাঁটাচলা করার ফলে হাঁটুতেও পড়ে বাড়তি চাপ। ফলে হাঁটুক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ে। এ কারণে পরে হাঁটুর ব্যথায়ও ভুগতে হতে পারে, বিশেষত সমস্যা হতে পারে সিঁড়ি ভাঙার সময়।
তা ছাড়া দীর্ঘদিন লম্বা সময়ের জন্য উঁচু হিল পরলে একসময় পায়ের আঙুল বা পাতার গড়নেও কিছু অস্বাভাবিকতা চলে আসতে পারে। আরও কিছু গঠনগত ক্ষতি হতে পারে। আমাদের পায়ের পেছনের অংশে থাকে টেন্ডোঅ্যাকিলিস নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ টেন্ডন।
বছরের পর বছর উঁচু হিল ব্যবহার করলে এই টেন্ডনের দৈর্ঘ্য কিছুটা ছোট হয়ে আসতে পারে, তা ছাড়া কাফ মাসল, অর্থাৎ পায়ের পেছনের অংশে থাকা পেশিতে টান পড়তে পারে। পরে কখনো নিচু স্যান্ডেল পরতে গেলে তখন পায়ের পেছনে ব্যথা হতে পারে।
হিল জুতা বা স্যান্ডেল একটানা খুব বেশি সময় পরা উচিত নয়। আর পরতে চাইলেও বেছে নিন কম উচ্চতার হিল। রোজ হিল ব্যবহার না করাই ভালো, মাঝেমধ্যে করতে পারেন।
তবু যদি প্রায়ই হিল ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়, তাহলে আধা ইঞ্চি থেকে দেড় ইঞ্চির মধ্যে রাখুন হিলের উচ্চতা। দুই ইঞ্চি পর্যন্ত উচ্চতার হিল দিনে সর্বোচ্চ ছয় থেকে আট ঘণ্টার জন্য পরতে পারেন।
এর চেয়ে উঁচু হিল পরতে চাইলে সময়টা কমিয়ে আনতে হবে। তিন ইঞ্চি পর্যন্ত উচ্চতার হিল পরতে পারেন সর্বোচ্চ তিন থেকে চার ঘণ্টা। সেটিও সপ্তাহে দুই দিনের বেশি নয়। তিন ইঞ্চির বেশি উচ্চতার হিল এড়িয়ে চলুন। কালেভদ্রে পরতে পারেন বিশেষ অনুষ্ঠানে, তা–ও সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় ঘণ্টা।
উঁচু হিলের জুতা বা স্যান্ডেল পরলেও ব্যাগে কম উচ্চতার জুতা রাখা ভালো। প্রয়োজনে বদলে নিতে পারবেন। সরু হিল নয়; বরং চওড়া বেজের (ওয়েজ বা ব্লক) হিল বেছে নেওয়া ভালো।
পায়ের পেশির স্ট্রেচিং হয়, এমন ব্যায়ামের অভ্যাস করা ভালো। হিল জুতা বা স্যান্ডেল পরার পর গোড়ালি বা পায়ের আঙুলে ব্যথা হলে তোয়ালেতে বরফকুচি নিয়ে ১৫-২০ মিনিট চেপে রাখুন।
বরফকুচি না পেলে বরফের টুকরাও কাজে লাগাতে পারেন। প্রয়োজনে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। আর অবশ্যই চেষ্টা করুন হিলের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে।