প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

ব্যক্তিগত গাড়ি মানেই আপন সঙ্গী। চলার পথের অন্যতম বন্ধু। নিশ্চিন্তে যেকোনো গন্তব্য পাড়ি দিতে ব্যক্তিগত গাড়ি দেয় পূর্ণ স্বাধীনতা। গাড়ি শুধু একটি যান নয়, বরং অনেকের জন্য এটি একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। তবে এই স্বপ্ন দীর্ঘ মেয়াদে টিকিয়ে রাখতে হলে চাই নিয়মিত যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ। গাড়ি কেনার চেয়ে যত্নের প্রতি সচেতনতা দীর্ঘদিন ও দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়াকে সহজ করে। নিজের যত্নের মতো গাড়ির বিষয়েও সহজ কিছু কৌশল অবলম্বন করে নতুন যানের মতো ব্যবহার করা যায়।
সকালবেলা বের হওয়ার আগে গাড়িটি চালু করে কিছুক্ষণ স্টার্টে রেখে দেওয়া যেতে পারে। ড্যাশবোর্ডে একটি নীল রঙের সংকেত গাড়ি চালু হলে দেখাবে। এই সংকেতের মানে হলো গাড়ির ইঞ্জিন এখন শীতল অবস্থায় আছে। কিছুক্ষণ স্টার্টে রেখে দেওয়ার পর থ্রটলে কয়েকবার চাপ প্রয়োগ করলেই চিহ্নটি চলে যাবে। এর মানে হলো গাড়িটি এখন চালানোর জন্য উপযুক্ত। চাবি দিয়ে বা স্টার্ট বাটন পুশ করে অন করার পর দেখতে হবে, ড্যাশবোর্ডে আর কোনো সংকেত প্রদর্শন করছে কি না! ড্যাশবোর্ডের সংকেতগুলো সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান রাখা জরুরি। এতে গাড়ির কোনো যন্ত্রাংশে সমস্যা থাকলে সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া যায়। ড্যাশবোর্ডে ‘চেক ইঞ্জিন’ আলো জ্বলে উঠলে অনেকেই সেটাকে উপেক্ষা করেন, যা বিপজ্জনক। এটি কোনো সাধারণ সমস্যা (যেমন অক্সিজেন সেন্সরের ত্রুটি) অথবা গুরুতর কিছু (যেমন ক্যাটালিটিক কনভার্টারের সমস্যা) নির্দেশ করতে পারে। দ্রুত স্ক্যান করে কারণ জেনে নিতে হবে। গাড়িটি যদি সিএনজি বা এলপিজি জ্বালানি ব্যবহার করে চালানো হয়, সে ক্ষেত্রে প্রথমে জ্বালানি তেলের মাধ্যমে চালু করে কিছুক্ষণ ফুয়েলে চালিয়ে সিএনজি অথবা এলপিজিতে চালালে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। গাড়ি চালানোর আগে হেডলাইট, হর্ন, সংকেতবাতি, ব্রেকলাইট ঠিকমতো কাজ করছে কি না, দেখে নিতে হবে।
পেছনের দৃশ্য বা গাড়ি দেখার জন্য তিনটি রিয়ার ভিউ মিরর থাকে। দুই দরজার পাশে দুটি এবং চালক ও যাত্রীর আসনের মাঝখানে একটি। এই রিয়ার ভিউ মিররগুলো এমনভাবে সমন্বয় করতে হবে, যেন পেছনের দৃশ্য বা গাড়ি সহজে দেখা যায়। নতুন গাড়িগুলোতে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা থাকে। গাড়ি চালানো অবস্থায় ক্যামেরায়ও গাড়ির পাশে এবং পেছনের অবস্থা জানা যায়। গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে সব আয়নায় গাড়ির অবস্থা দেখে পার্ক করা উচিত। এতে বিপদের আশঙ্কা কমে। পার্কিং সেন্সর থাকলে কাছাকাছি কোনো বস্তুতে গাড়ি লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে সেখানে শব্দ উৎপন্ন হয়। তীব্র শব্দ হলে বুঝতে হবে, গাড়ি কোনো বস্তু বা অন্য সাবজেক্টের খুব কাছাকাছি। গাড়ির হেডলাইট ঘোলা হয়ে গেলে তা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে রাতে গাড়ি চালানো নিরাপদ হবে।
গাড়ি চালু করার পর গাড়ির ধুলাবালুগুলো মাইক্রোফাইবার কাপড়ের সাহায্যে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। কাচ পরিষ্কার করার জন্য ডাস্টার ব্যবহার করতে হবে। গাড়ির ওপর থেকে ডাস্টারের সাহায্যে আলগা ধুলাবালুগুলো প্রথমে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর মাইক্রোফাইবারের টাওয়েল দিয়ে গাড়ি পরিষ্কার করলে ছোটখাটো দাগ পড়া থেকে গাড়ি রক্ষা পাবে। চালানোর আগে গাড়ির ফ্লোরম্যাটগুলো বের করে ঝেড়ে নিতে হবে। পাশাপাশি গাড়ির আসন, ড্যাশবোর্ড, সাইড বক্স, ডোর পকেট, এয়ার ভেন্ট থেকে শুরু করে দৃশ্যমান সব কটি অংশ পরিষ্কার করে নিলে গাড়িটিতে চড়ে ভালো অনুভূতি হবে। পাশাপাশি গাড়ির এসি ভেন্টগুলো পরিষ্কার থাকলে ব্যাকটেরিয়া বা বাজে গন্ধ থেকে মুক্তি মিলবে। এক বা দুই সপ্তাহ পরপর গাড়িটি ধোয়া উচিত। যদি মহাসড়কে বা ধুলাবালু বেশি, এমন রাস্তায় গাড়ি বেশি চালানো হয়, সে ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ পরপর গাড়ি ধুয়ে নেওয়া উত্তম। মাসে একবার গাড়ির তল থেকে শুরু করে পুরো গাড়ি ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উত্তম। এ ক্ষেত্রে গাড়ি ওয়াশিং সেন্টারগুলোয় পরিষ্কার করানো যেতে পারে।
গাড়ির ইঞ্জিন পুরোনো হলে ইঞ্জিন অয়েল কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। সাধারণত নতুন গাড়িগুলোয় এ সমস্যা হয় না। জ্বালানি দিয়ে চলা গাড়িগুলোতে ৩ থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার পরপর ইঞ্জিন অয়েল এবং ১০ হাজার কিলোমিটার পরপর ইঞ্জিন অয়েল ফিল্টার বদলে নিতে হবে। হাইব্রিড বা প্লাগ ইন হাইব্রিড (পিএইচইভি) গাড়িগুলোয় যেহেতু ব্যাটারি এবং মোটরের সাহায্যেও গাড়ি চলে, সেহেতু এ ধরনের গাড়িগুলোয় ১০ হাজার কিলোমিটার পরে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হয়। সঠিক চাপ বজায় রেখে টায়ারে বাতাস না দিলে যেমন ফুয়েল খরচ বাড়ে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। প্রতি সপ্তাহে একবার টায়ারের চাপ পরীক্ষা করা ভালো। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট ব্যবধানে টায়ার রোটেশন ও হুইল অ্যালাইনমেন্ট করালে টায়ারের আয়ু বাড়ে। আধুনিক গাড়িগুলোয় টায়ার প্রেশার মনিটরিং সিস্টেম বা টিপিএমএস থাকে। এর সাহায্যে চারটি চাকায় কী পরিমাণ হাওয়ার চাপ রয়েছে, তা জানা যায়। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা অনুসারে, গাড়ির চার চাকায় হাওয়া আনুপাতিক হারে ঠিক রাখলে কম জ্বালানি খরচ করে বেশি পথ পাড়ি দেওয়া যায়। এ ছাড়া আফটার মার্কেটে টিপিএমএস সিস্টেম কিনতে পাওয়া যায়। নিজে নিজে হাওয়ার চাপ দেওয়ার জন্য পাওয়ার ব্যাংকসহ ডিভাইস পাওয়া যায়। এই ডিভাইসগুলোতে হাওয়ার চাপ দেওয়া বা কমানো, হাওয়ার পরিমাণ, এমনকি জাম্প স্টার্টআপ অপশনও থাকে। এতে ব্যাটারির কারণে হঠাৎ গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলে বিকল্প উপায়ে গাড়ি চালু করা সহজ হয়।
যেকোনো গাড়ি প্রথমবার চালু হওয়ার সময় ব্যাটারির সাহায্য নিয়ে থাকে। ব্যাটারির স্বাস্থ্যের সঙ্গে গাড়ির হর্ন, হেডলাইট, সংকেতবাতি থেকে শুরু করে স্টার্টআপ মোটরও সম্পর্কিত। ড্রাই সেলের ব্যাটারিগুলোয় অতিরিক্ত ডিস্টিলড ওয়াটার দিতে হয় না। সাধারণ ব্যাটারিতে ডিস্টিলড ওয়াটারের পরিমাণ কমে গেলে ডিস্টিলড ওয়াটার দিয়ে ওয়াটার চেম্বার পূরণ করতে হয়। কোনোমতেই ব্যাটারিতে সাধারণ পানি ব্যবহার করা উচিত নয়। এ ছাড়া রেডিয়েটরে পানির পরিমাণ, গাড়ির কাচ পরিষ্কার করার জন্য ওয়াটার ট্যাংকে পরিমাণমতো পানি আছে কি না, দেখতে হবে। হাইব্রিডগুলোয় অতিরিক্ত ব্যাটারি থাকে। এই ব্যাটারিগুলো গাড়ির আসনের নিচে সমান্তরালভাবে থাকে। তাই হাইব্রিডগুলোতে সঠিক বাতাসের পরিমাণ প্রবেশ করানোর জন্য হাওয়া যাওয়ার জায়গাগুলো উন্মুক্ত রাখতে হবে। গাড়িতে কার্পেটিং করানোর সময় এয়ার ভেন্টগুলো যেন কোনোমতে ঢেকে না যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। হাইব্রিডগুলো চালানোর সময় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালু করে চালালে ব্যাটারি উষ্ণ হয় না।
ব্যাটারিচালিত গাড়িগুলোয় সঠিক মাইলেজ না পেলে হাইব্রিড ব্যাটারির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। যেসব সেল অকেজো হবে, শুধু সেসব সেল বদলে নিলে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা আগের মতো কাজ করবে। গাড়ির মূল ব্যাটারির সংযোগস্থলে মরিচা পড়েছে কি না, এ বিষয়ও পরীক্ষা করে নিতে হবে। এই টার্মিনালগুলো পরিষ্কার থাকলে ব্যাটারি ঠিকঠাক কাজ করবে।
দুর্ঘটনা বলেকয়ে আসে না। অনেক দুর্ঘটনা এমন থাকে, যেখানে গাড়িচালকের দোষের চেয়ে অন্যদিকের চালকের দোষ বেশি থাকে। কিন্তু তৎক্ষণাৎ তা প্রমাণ হবে কী করে? ড্যাশক্যাম হতে পারে এর সমাধান। গাড়িতে একটি ড্যাশক্যাম যুক্ত করে নিলে সামনে এবং পেছনে দুটি ক্যামেরায় গাড়ির চলাচলের সময় ভিডিও ধারণ করা যায়। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা পাওয়া যায়। ড্যাশক্যাম গাড়ির অভ্যন্তরে লুকিং মিররে অথবা লুকিং মিররের নিচে ডিসপ্লেসহ ডিভাইসটি ইনস্টল করা যায়। ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে ড্যাশক্যাম গাড়িতে সংযুক্ত করা যায়।
বর্তমান গাড়িগুলোয় সাধারণত ওবিডি-টু পোর্ট থাকে, যেখানে একটি স্ক্যানার লাগিয়ে আপনি গাড়ির ইঞ্জিন ও অন্যান্য সিস্টেমের সমস্যার কোড জানতে পারেন। একটি সাধারণ ওবিডি স্ক্যানার কিনে নিয়ে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইঞ্জিন, ট্রান্সমিশন, ফুয়েল সিস্টেম ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। ওবিডি ব্যবহার করাও সহজ। গাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত করে মুঠোফোনেই বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
গাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে ব্রেক। ব্রেকিং সিস্টেমে সামান্য সমস্যা থাকলে সেটি বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। অস্বাভাবিক শব্দ বা বেশি চাপ প্রয়োগে যদি ব্রেক কাজ করে, তাহলে দ্রুত মেকানিকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ব্রেক প্যাডগুলো আগের থেকে কার্যকারিতা কমে যায়, ফলে আকস্মিক বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। নিয়মিত গাড়ির ব্রেক পর্যবেক্ষণ অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ থেকে পরিত্রাণ দেবে। তাই মাসে অন্তত একবার ব্রেক পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। ব্রেক ফ্লুইড কমে গেলে রিফিল করে নিতে হবে। ডিজিটাল ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেমে জেট ও নোজল জমে গেলে ফুয়েল সঠিকভাবে মেশে না, ফলে মাইলেজ কমে যায়। বছরে অন্তত একবার ফুয়েল ইনজেকশন ক্লিনিং করালে পারফরম্যান্স অনেক ভালো থাকে। পাশাপাশি গাড়ির টাইমিং বেল্ট বা চেইন ছিঁড়ে গেলেও ইঞ্জিনের ক্ষতি হতে পারে। তাই ৮০ থেকে ১ লাখ কিলোমিটার পরপর টাইমিং চেইন পরিবর্তন করে নেওয়া উত্তম।
শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে ঠিকমতো শীতল হাওয়া সরবরাহের জন্য এসি ফিল্টার পরিষ্কার করা জরুরি। এসি ফিল্টার প্রথম যাত্রীর আসনের দিকের ড্যাশবোর্ডের নিচে থাকে। এই ফিল্টার সহজেই পরিষ্কার করা যায়। এয়ার ফিল্টারের ক্ষেত্রে হাওয়া মেশিন দিয়ে ফিল্টারটি পরিষ্কার করা যায়। ছয় মাস পর এয়ার ফিল্টার এবং এসি ফিল্টার বদলে ফেলা উত্তম।
গাড়ির প্রাণশক্তি হলো ফুয়েল বা বৈদ্যুতিক শক্তি। রূপান্তরিত জ্বালানির ক্ষেত্রেও গাড়িটি ফুল ট্যাংক জ্বালানি বা গ্যাসে কতটা পথ পাড়ি দিতে পারবে, তার সম্যক ধারণা রাখা প্রয়োজন। জ্বালানি ফুরানোর আগেই জ্বালানি গাড়িতে নিতে হবে। তাহলে রাস্তায় গাড়ি ঠেলার কঠিন ঝামেলায় পড়তে হবে না। গাড়ির ড্যাশবোর্ডে ফুয়েল সংকেত এবং রূপান্তরিত গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল মিটার দেখে ফুয়েলের পরিমাপ সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। গতি তোলার ক্ষেত্রে ধীরে থেকে জোরে নীতি অনুসরণ করতে হবে। হুটহাট থ্রটল না চেপে নিয়মমতো একই চাপে থ্রটলে পা রাখলে গাড়ির জ্বালানির সঠিক ব্যবহার হবে।
অতিরিক্ত রোদে গাড়ি পার্ক করা হলে গাড়ির ভেতরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এ সময় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে গাড়ি শীতল করতে সময়ের প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া খোলা আকাশের নিচে গাড়ি পার্ক করলে গাড়িতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ধুলাবালু লাগে। তাই গাড়ি পার্ক করার সময় ছায়াযুক্ত স্থান নির্বাচন করুন। দীর্ঘদিন গাড়ি ব্যবহার না করলে গাড়ি কভার দিয়ে ঢেকে রাখা উত্তম।
গাড়ি শুধু যাতায়াতের একটি মাধ্যম নয়; বরং এটি মালিকের রুচি, ব্যক্তিত্ব ও জীবনযাত্রার প্রতিফলন। ব্যক্তিগত গাড়ির যত্ন শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং প্রযুক্তিগতভাবে সচেতন থেকে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে গাড়ির কার্যক্ষমতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণ বড় মেরামতের খরচ ও দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে পারে। মনে রাখতে হবে, একটি যত্নে রাখা গাড়ি শুধু দীর্ঘস্থায়ী হয় না; বরং এটি যাত্রাকে করে নিরাপদ ও আরামদায়ক।
এস এম আলাউদ্দিন আল আজাদ