Advertisement

প্রোটন এক্স৭০: ভ্রমণে বিশ্বস্ত সঙ্গী

প্রথম আলো

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট, ২০২৫

প্রোটন এক্স৭০সংগৃহীত
প্রোটন এক্স৭০সংগৃহীত

বাংলাদেশে তৈরি স্মার্ট এসইউভি এখন হাতের নাগালে! যানজট বা দীর্ঘ পথের অ্যাডভেঞ্চার—এসইউভি এখন শুধু গাড়ি নয়, আপনার ব্যক্তিত্ব আর নির্ভরতার প্রতীক। এসইউভি সি সেগমেন্টে বর্তমানে বাংলাদেশের নতুন চমক প্রোটন এক্স৭০, মেড ইন বাংলাদেশ। হাতে–কলমে গাড়িটি চালানোর অভিজ্ঞতা নিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত শোরুমে গিয়ে লাল রঙের গাড়িটির দেখা মিলল। গাড়িটির বনেটে লেখা ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। বাংলাদেশে সংযোজিত গাড়িটি চালানোর অভিজ্ঞতা থেকেই আজকের প্রতিবেদন।

গাজীপুর জেলার কাশিমপুরের ভবানীপুরে র‍্যানকন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত র‍্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে তৈরি হচ্ছে এই দারুণ এসইউভি। তাই ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ তকমা নিয়ে এক্স৭০ এখন গর্বের প্রতীক। প্রোটনের ঢাকা ও চট্টগ্রাম শোরুমে গেলেই পাবেন এই অসাধারণ এসইউভির দেখা।

সি সেগমেন্টে সবার সেরা গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স প্রোটন এক্স৭০ একটি সি-সেগমেন্টের কমপ্যাক্ট ক্রসওভার এসইউভি, যার ডিজাইন আকর্ষণীয় এবং চোখে পড়ার মতো। এসইউভি বা ক্রসওভারগুলোয় সাধারণত ১৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি টায়ার ব্যবহার করা হয়। তবে এই গাড়িতে ২২৫/৫৫ আর ১৯ ইঞ্চি টায়ার রয়েছে, যার কারণে মাটি থেকে গাড়িটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স দেয় যেকোনো রাস্তায় সেরা ড্রাইভিং এক্সপেরিয়েন্স। ২০০ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সে গাড়িটির হুইলবেস ২ হাজার ৬৭০ মিলিমিটার। প্রোটন এক্স৭০-এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা যথাক্রমে ৪ হাজার ৫১৯, ১ হাজার ৮৩১ এবং ১ হাজার ৬৯৪ মিলিমিটার।

একপশলা বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর প্রদর্শনী কেন্দ্র থেকে আমরা হাতিরঝিলের দিকে যাত্রা শুরু করি। সানরুফ দিয়ে শেষ বিকেলের আলো দেখার জন্য পেছনের আসন থেকেই শুরু করি ভয়েস কমান্ডের প্র্যাক্‌টিস, ‘হাই প্রোটন, ওপেন সানরুফ।’ চালক বা যাত্রীর সুবিধার্থে ফিচারগুলো ব্যবহার করা যায় ভয়েস কমান্ডে। কণ্ঠ নির্দেশনায় নিয়ন্ত্রণযোগ্য এসি, উইন্ডো, ডোর লক—সবকিছু যেন ভবিষ্যতের স্পর্শ। সানরুফ খুলে বাইরের নির্মল হাওয়ায় আকাশ দেখতে দেখতে আমরা পৌঁছে গেলাম হাতিরঝিলে। টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে ‘হাই প্রোটন’ ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে কাজ করে, যেখানে আপনি নেভিগেশন, মিউজিক, আপডেট ও কানেকটিভিটি—সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

প্রোটন এক্স৭০ শুধু একটি গাড়িই নয়, আপনার জীবনযাত্রায় এ যেন এক স্টাইলিশ সংযোজন। প্যানারোমিক সানরুফের ওপেন অ্যাকসেসের সঙ্গে চমৎকার নাপা লেদারের হাই কোয়ালিটি সিটে বসেই বোঝা যায়, দীর্ঘ যাত্রাও হতে পারে আরামদায়ক। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য বাড়াতে ডুয়েল টোন লুকও নজর কাড়ে। স্টিয়ারিং হুইলে মাল্টিমিডিয়া কন্ট্রোল, অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, কল অ্যাকসেপ্ট, রিজেক্টসহ স্পিডোমিটার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কেবিন নয়েস কম হওয়ার পাশাপাশি গাড়িতে সাউন্ডপ্রুফ প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে বাইরের শব্দও তেমন একটা টের পাওয়া যায় না। পাঁচ আসনবিশিষ্ট এই গাড়ির দ্বিতীয় সারির আসনেও রয়েছে এসি ভেন্ট ফলে গরমে বাড়তি স্বস্তি মিলবে। এ ছাড়া গাড়িটির ডুয়েল জোন অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল সিস্টেমে আছে এন৯৫ ফিল্টার, যা যাত্রা শুধু আরামদায়ক নয়, স্বাস্থ্যকরও করে তোলে।

প্রোটন এক্স৭০-এ সুপার স্মার্ট গিয়ার লিভারের পাশাপাশি বাংলাদেশের বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে রয়েছে অটোমেটিক রেইন সেন্সিংওয়াইপার। ড্যাশ বোর্ডে চালকের জন্য যে ইনফোটেইনমেন্ট ডিসপ্লে রয়েছে, সেটি পুরোটাই ডিজিটাল। পুশ স্টার্ট অপশনের সঙ্গে গাড়িটিতে তিনটি ড্রাইভ মোড (ইকো, স্পোর্টস, কমফোর্ট) সেই সঙ্গে আছে ডিজিটাল ডিসপ্লে। কম জ্বালানিতে গাড়ি চালানোর জন্য রয়েছে ডেডিকেটেড ইকো মোড। পাওয়ার ড্রাইভের জন্য রয়েছে স্পোর্টস মোড। সাধারণত গাড়িটি কমফোর্ট মোডে ডিফল্ট ড্রাইভ হিসেবে থাকে। এ ছাড়া গাড়িটির রিয়ার ভিউ মিররে রয়েছে ব্লাইন্ড স্পট ইনফরমেশন সিস্টেম। এই প্রযুক্তির কারণে যেসব গাড়ি রিয়ার ভিউ মিররে দেখা যায় না, সেগুলোর অবস্থান সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়। ড্রাইভিংকে আরও সহজ করতে গাড়িতে রয়েছে ইলেকট্রনিক হ্যান্ডব্রেক, অটো হোল্ড, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল এবং হিল অ্যাসিস্টের জন্য ডেডিকেটেড বাটন। ডুয়েল জোন এয়ারকন্ডিশন অপশন থাকার কারণে চালক ও যাত্রী নিজেদের পছন্দমতো তাপমাত্রা নির্ধারণ করতে পারেন। প্রোটন এক্স৭০-তে প্রশস্ত চেসিস, বড় আকৃতির টায়ার ও ওজন ভারসাম্যের সামঞ্জস্য থাকায় দূরের রাস্তায়ও ভ্রমণ বিরক্তিকর হবে না।

প্রোটন এক্স৭০-এর সঙ্গে সব যাত্রা হবে ‘কনসার্ট অন দ্য রোড’! প্রোটন এক্স৭০-এ গান শোনার জন্য স্বনামধন্য সাউন্ড সিস্টেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কেনউডের ছয়টি স্পিকার রয়েছে। টাচস্ক্রিন ডিসপ্লের ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমে অ্যান্ড্রয়েড অটো ও অ্যাপল কার প্লে দুটি অপশনে স্মার্টফোন সংযুক্ত করে ব্যবহার করা যাবে। যা ‘হাই প্রোটন’ ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে কাজ করে, যেখানে আপনি নেভিগেশন, মিউজিক, আপডেট ও কানেকটিভিটি—সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এ ছাড়া ডিভাইস চার্জ দেওয়ার জন্য রয়েছে একাধিক ইউএসবি পোর্ট আর রয়েছে কি-লেস এন্ট্রি সুবিধা।

প্রোটন সব সময় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে আসছে, এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো আসিয়ান এন-ক্যাপের ৫-স্টার সেফটি রেটিং। এটি শুধু একটি রেটিং নয়, এটি নিরাপদ ড্রাইভিংয়ে প্রোটনের প্রতিশ্রুতির একটি মাইলফলক। রাতে গাড়ি চালানোর সময় হেডলাইটের হাইবিম মোড অনেক সময় বিপরীত দিকের চালকের জন্য বিপদজ্জনক হয়। এই গাড়িতে থাকছে ইন্টেলিজেন্ট হাই বিম কন্ট্রোল বা আইএইচবিসি। গাড়ি নিজেই ঠিক করে নেবে বিপরীত দিকের গাড়ির জন্য হাইবিমের লেভেল কতটুকুতে রাখলে, তা বিপদের কারণ হবে না। গাড়িটিতে রয়েছে ছয়টি এসআরএস এয়ারব্যাগ, যা যাত্রার সময় চারদিক থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এতে আছে আধুনিক অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম (এডিএএস), যা ড্রাইভিংয়ের সময় সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। যানজটে বারবার গতি কমানো বা বাড়ানোর ঝামেলা দূর করে অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোল আর জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা এড়াতে কাজ করে

নিরাপত্তার জন্য প্রোটন এক্স৭০-এর চারটি চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। সামনের চাকা ভেন্টিলেটেড এবং পেছনের চাকায় সলিড ডিস্ক। উঁচু বা ঢালু রাস্তায় গাড়ি থামাতে বা নামাতে হিল হোল্ড অ্যাসিস্ট এবং হিল ডিসেন্ট কন্ট্রোল দারুণ সহায়তা করে। পাহাড়ে বা উঁচু রাস্তায় ওঠার জন্য ডেডিকেটেড হিল ডিসেন্ট বাটন চেপে সহজে কঠিন রাস্তা অতিক্রম করা যায়। এ ছাড়া জরুরি মুহূর্তে অটোনোমাস ইমার্জেন্সি ব্রেকিং (এইবি), সামনের আঘাতকে প্রতিহত করতে ফরোয়ার্ড কলিউশন ওয়ার্নিং (এফসিডব্লিউ), সামনের গাড়ির গতিকে অনুসরণ করে চলার জন্য অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, নির্দিষ্ট লেন অতিক্রম করলে লেন ডিপার্চার ওয়ার্নিং (এলডিডব্লিউ), উঁচু পথে ওঠা বা নামার জন্য হিল হোল্ড অ্যাসিস্ট এবং হিল ডিসেন্ট কন্ট্রোল ফিচার রয়েছে। গাড়ির দরজাগুলো খোলার সময় যদি আশপাশে কোনো গাড়ি থাকে তাহলে ডোর ওপেনিং অ্যালার্মটি বেজে উঠে চালক ও যাত্রীকে সতর্ক করবে।

প্রতি লিটার জ্বালানি খরচে মহাসড়কে ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার এবং যানজটের রাস্তায় ৭ থেকে ৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। দূরের যাত্রায় নির্বিঘ্নে চলার জন্য এক্স৭০-এ ৬০ লিটারের জ্বালানি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ট্যাংক রয়েছে। ১ দশমিক ৫ লিটার টার্বোচার্জড (টিজিডিআই) পেট্রল ইঞ্জিনের সঙ্গে রয়েছে ৭ স্পিড ডুয়েল ক্লাচ ট্রান্সমিশন (ডিসিটি)। হাতিরঝিলে আমরা ৬ থেকে ৭ সেকেন্ডে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতি তুলতে পেরেছি। এর থেকে ধারণা করে বলা যায় যে শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে গাড়িটির ৯ থেকে ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ৫ হাজার ৫০০ আরপিএম এই গাড়ির অশ্বশক্তি ১৭৫বিএইচপি। ১ হাজার ৫০০ থেকে ৪০০০ হাজার আরপিএম গাড়িটি সর্বোচ্চ ২৫৫ নিউটন মিটার (এনএম) টর্ক উৎপাদন করতে পারে। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২০৫ কিলোমিটার।

গাড়িটির সামনের অংশে ক্রোম গ্রিলের ফ্রেমে প্রোটনের নিজস্ব ইনফিনিট ওয়েভ নকশা রয়েছে। ভালো করে লক্ষ করলে দেখতে পাবেন এর ডিজাইনের মালয়েশিয়ার ঐতিহ্যবাহী সোংকেট হীরার পিন মোটিফ নিপুণভাবে স্থাপন করা হয়েছে। গাড়ির বনেটটি হাইড্রোলিক প্রযুক্তিতে উন্মুক্ত হয়, এই সুবিধাও সাধারণত দামি গাড়িগুলোয় মেলে। বনেটের মতো পেছনের টেইলগেটটি তিনটি ধাপে স্বয়ংক্রিয়, ফুট-সেন্সর ও চাবির সাহায্যে খোলা যায়। হাতভর্তি বাজারের ব্যাগ থাকলে শুধু পায়ের সাহায্যে ফুট-সেন্সর ব্যবহার করেও টেইলগেট খোলার সুবিধাটি গাড়িটিকে অনন্য করেছে। মালামাল বহনের জন্য এক্স৭০-এর পেছনে ৫১৫ লিটারের বুট স্পেস রয়েছে। গাড়ির কোনো কাচে প্রাইভেসি গ্লাস ব্যবহার করা হয়নি। পেছনের দিকে দুই পাশে লাইটের মাঝখানে প্রোটনের নামটি বড় করে লেখা আছে। ডান পাশে কোনায় দেখা যাবে গাড়ির মডেল ‘এক্স৭০’-এর লোগো।

প্রোটন একটি সবুজ আগামীর প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছে আর এক্স৭০ তারই প্রতিফলন। অত্যাধুনিক ডিজাইন, সেরা পারফরম্যান্স আর পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির মেলবন্ধনে গাড়িটি এনেছে এক নতুন মাত্রা। এই গাড়ির ১ দশমিক ৫ লিটার টার্বোচার্জড টিজিডিআই ইঞ্জিন ভালো মাইলেজের পাশাপাশি পরিবেশে কম কার্বন নিঃসরণ করে। শুধু ইঞ্জিন নয়, প্রোটন তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়াতেও পরিবেশবান্ধব নীতিমালা অনুসরণ করছে, যাতে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা যায়। প্রোটন বাংলাদেশে গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে বিশেষ করে ভলভো, স্মার্ট, জিইলি ও লোটাসের মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রোটন এক্স৭০-এ উন্নত প্রযুক্তি ও নির্মাণশৈলী ব্যবহার করেছে। গাড়িটি জেট গ্রে, রুবি রেড, স্পেস গ্রে, সিনেমন ব্রাউন—এই চার রঙে পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে বিনা মূল্যে ছয়টি সার্ভিসসহ গাড়িটিতে পাঁচ বছর বা দেড় লাখ কিলোমিটার (যেটা আগে আসে) পর্যন্ত বিক্রয়োত্তর সেবা মিলবে। র‍্যানকন কারস লিমিটেডের ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রদর্শনী কেন্দ্রে গাড়িটি দেখার পাশাপাশি টেস্ট ড্রাইভ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল বা এসইউভি শ্রেণিতে তিনটি ভাগ রয়েছে। মধ্যম ঘরানার এসইউভি গাড়িগুলো সি শ্রেণিতে পড়ে। এই বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বড় গাড়িটি হলো প্রোটন এক্স৭০।

• এসইউভি সি শ্রেণিতে সর্বনিম্ন মূল্য
• ১৯ ইঞ্চি টায়ার
• বক্স সুইচ
• হাইড্রলিক বনেট
• স্বয়ংক্রিয় টেইলগেট
• থ্রিডি ভিউসহ ৩৬০ ক্যামেরা
• এন৯৫ কেবিন ফিল্টার
• রিয়ার সিট এসি ভেন্ট

Lading . . .