Advertisement

ঐশ্বরিয়ার অভিযোগ, অনুমতি ছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইট তাঁর নাম ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করছে এবং তাঁর এআই-নির্মিত আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনফেসবুক থেকে নেওয়া
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনফেসবুক থেকে নেওয়া

বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন নিজের প্রচার-অধিকার রক্ষায় দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছেন। অভিযোগ, অনুমতি ছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইট তাঁর নাম ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করছে এবং তাঁর এআই-নির্মিত আপত্তিকর ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি তেজাস কারিয়ারের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। শুনানিতে ঐশ্বরিয়ার পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী সন্দীপ সেঠি জানান, একাধিক ওয়েবসাইট বিনা অনুমতিতে ঐশ্বরিয়ার নাম ব্যবহার করে ব্যবসা করছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন ঐশ্বরিয়ারাইওয়ার্ল্ডডটকম নামে একটি ওয়েবসাইটের কথা। যা নিজেদের ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ‘অফিসিয়াল ওয়েবসাইট’ দাবি করছে, অথচ অভিনেত্রীর পক্ষ থেকে এমন কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

আরও উদ্বেগজনক উদাহরণ তুলে ধরে সেঠি বলেন, আরেকটি সংস্থা নিজেদের অফিশিয়াল নথিতে ঐশ্বরিয়াকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখিয়েছে। অথচ অভিনেত্রীর এর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ বা সম্মতি নেই।

আইনজীবী সন্দীপ সেঠি আদালতকে জানান, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অর্থ সংগ্রহ করছে ঐশ্বরিয়ার নামে, এমনকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় তৈরি অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেঠির ভাষায়, ‘এগুলো ঐশ্বরিয়ার আসল ছবি নয়, এগুলো সম্পূর্ণ এআই ব্যবহার করে তৈরি। কিছু অন্তরঙ্গ ছবিও ছড়ানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভুয়া ও আপত্তিকর।’

সন্দীপ সেঠি আরও যুক্তি দেন, ‘কেউই তাঁর ছবি, চেহারা বা নাম অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করতে পারে না। অথচ কেবল তাঁর নাম-মুখ দিয়ে কেউ অর্থ রোজগার করছে, আবার কারও যৌন বাসনা পূরণের জন্য তাঁর পরিচিতিকে ব্যবহার করা হচ্ছে, এটি দুঃখজনক।’

আদালত গুগলের আইনজীবীকে ঐশ্বরিয়ার তালিকাভুক্ত লিঙ্কগুলো দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানায়। বিচারপতি মৌখিকভাবে বলেন, এ ধরনের অনুমতিবিহীন ব্যবহারের বিরুদ্ধে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালেও বচ্চন পরিবার দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। সে সময় ইউটিউবে কিছু ভিডিওতে দাবি করা হয়েছিল, তাঁদের মেয়ে আরাধ্যা গুরুতর অসুস্থ কিংবা মারা গেছেন। সেই ভিডিওগুলোতেও বিকৃত ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা।

Lading . . .