Advertisement

আমি সব ডিবেটে অংশ নিয়েছি, শিখেছি পরিবার থেকেই: দিয়া মির্জা

যুগান্তর

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দিয়া মির্জা।
দিয়া মির্জা।

পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে কলকাতায় একটি আলোচনাসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে তিনি ১০ বছর ধরে প্লাস্টিকের কোনো জিনিস ব্যবহার না করার কথা জানান। সেদিন আড্ডার ছলেই অভিনেত্রী আরও বলেন— আমি কিন্তু আধা বাঙালি, জানেন তো?

দিয়া মির্জা বলেন, আমি স্পষ্ট বাংলা বলতে পারি। আমার মা বাঙালি। আর বাবা জার্মান ছিলেন। ৯ বছর বয়সে বাবাকে হারাই। তারপর আমি এক মুসলিম পরিবারে বড় হয়েছি। তারা আমাকে অ্যাডপ্ট করেছিলেন। সেই পারিবারিক শিক্ষাই আমি এখনো বহন করি।

অভিনেত্রী বলেন, মুসলিম পরিবার মানেই একটা ধারণা তৈরি হয়— মেয়েরা কথা বলতে পারবে না। অথচ আমি সব ডিবেটে অংশ নিতেই শিখেছি পরিবার থেকে।

হঠাৎ করে পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ের কথা কেন মনে হলো?—এমন প্রশ্নের জবাবে দিয়া মির্জা বলেন, 'ফিকি ফ্লো'-এর এ আলোচনায় এসে বলতে চাই— ১০ বছর হয়ে গেল আমি প্লাস্টিকের কিছু ব্যবহার করি না। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, মাইক্রো প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে মানুষের শরীরেও।

অভিনেত্রী বলেন, ছেলের জন্মদিন আমি বরাবর এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি রাখি। বেলুন ব্যবহার করি বাচ্চার জন্মদিনের সেলিব্রেশনে। আইরনিটা হলো সেই প্লাস্টিকই আমাদের সন্তানের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে। তাই প্রথম থেকেই আমি এ বিষয়ে সচেতন।

অভিনেত্রী নাকি বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করেন জীবনে। এই যেমন মেটালের বোতলে পানি রি-ফিল করে খাওয়া, কেনাকাটা করতে গেলে কাপড়ের থলি রাখা, একই পোশাক বারবার পরা আর নিরামিষ খাবার খাওয়া।

এ প্রসঙ্গে দিয়া মির্জা বলেন, এই সব কটা পদক্ষেপই বিশেষ পরিবর্তন আনতে পারে পরিবেশ রক্ষায়।

তিনি বলেন, ৪০ বছর পরেই তিনি বুঝতে শিখেছেন না বলতে পারায় কোনো লজ্জা নেই। তখন অপ্রয়োজনীয় কাউকে জীবনে জায়গা দিতে ভালো লাগে না। সে বন্ধু হোক কিংবা কোনো সম্পর্ক হোক। আমার ১৬ বছরের কন্যা, যাকে আমি বিবাহসূত্রে পেয়েছি। সব বিষয়ে আমাকে আর ওর বাবাকে না বলে। ওর কাছ থেকে শিখেছি না বলতে পারাটা দোষের কিছু নয় বলে জানান দিয়া মির্জা।

আরও পড়ুন

Lading . . .