থালাপতি বিজয়ের চেয়েও কি বেশি ধনী তার স্ত্রী
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

তামিল সিনেমার সুপারস্টার জোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখরের স্ত্রী সঙ্গীতা সর্নালিংগম। খটকা লাগছে? জোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখরই পরিচিত থালাপতি বিজয় নামে। তিনি শ্রীলঙ্কান তামিল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। বড় হয়েছেন যুক্তরাজ্যে।
বিজয় ভারতের অন্যতম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতাদের মধ্যে একজন। ইটাইমসের তথ্য অনুযায়ী, ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা তার ক্যারিয়ারে ‘লিও’, ‘বিগিল’, ‘ভারিসু’, ‘দ্য গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’ প্রভৃতি ছবি বিশেষ ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেছে। সব মিলিয়ে বিজয়ের মোট সম্পদ আনুমানিক ৬০০ কোটি রুপি।
তবে তার স্ত্রী সঙ্গীতাও কিন্তু কম যান না। অর্থ-প্রাচুর্যে তিনিও বেশ এগিয়ে। সঙ্গীতা ১৯৭৪ সালের ২২ জুন ভারতের চেন্নাইতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার শ্রীলঙ্কার তামিল। ছোটবেলায় তারা লন্ডনে চলে যান। সেখানেই বেশ আনন্দে কেটেছে তার শৈশব। সঙ্গীতার পিতা একজন ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন।
কিছু প্রতিবেদন অনুসারে, সঙ্গীতা প্রচুর সম্পত্তির মালিক। এমনকি বিজয়ের থেকেও বেশি সম্পদ থাকতে পারে বলে শোনা যায়। তবে এটা নিছকই গুজব। কোনো সত্যতা বা প্রমাণ নেই। ইন্ডিয়াটাইমসের প্রতিবেদনে তার সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৪০০ কোটি রুপি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

১৯৯৬ সালে লন্ডনে থাকাকালীন সঙ্গীতা থালাপতি বিজয়ের ‘পূভে উনাক্কাগা’ সিনেমাটি দেখে তার প্রতি মুগ্ধ হন। সিনেমাটি শুধু ভারতে নয় বিদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।
অন্যান্য ফ্যানদের মত শুধু মুগ্ধ হয়ে থেমে থাকেননি সঙ্গীতা। তিনি সরাসরি চেন্নাই এসে বিজয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য তার ফেভারিট ছবির সেটে যান। সেই সাহসী পদক্ষেপ তাদের জীবন বদলে দেয়। প্রথম সাক্ষাতে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় এবং একটি বিশেষ সম্পর্কের সূচনা হয়। বিজয় তার সততার প্রতি এতটাই মুগ্ধ হন যে তাকে তার বাবা-মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।
তিন বছরের প্রেম পর্ব শেষে ২৫ আগস্ট ১৯৯৯ তারিখে তারা বিয়ে করেন। তাদের বিয়ে হয় হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মীয় ঐতিহ্যের সমন্বয়ে। এই প্রেম কাহিনী কলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পগুলোর একটি।
সঙ্গীতা মিডিয়া থেকে দূরে থাকেন। তাদের দুই সন্তান জেসন সঞ্জয়ের জন্ম ২০০০ সালে এবং দিব্যা সাশা জন্মেছেন ২০০৫ সালে। সন্তানদের কখনো কখনো বিজয়ের সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে দেখা গিয়েছে। তবে অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেননি তারা। সঙ্গীতা নিজে অভিনয় বা চলচ্চিত্রে কাজ করেন না।
২০২৪ সালে বিজয় তার রাজনৈতিক দল ‘তামিলগা বিজয় কজাহাগম’ গড়ে তোলেন এবং সঙ্গীতা তাকে এই উদ্যোগে সমর্থন করেন। সঙ্গীতা সর্নালিংগম সবসময়ই আড়ালে থেকে থালাপতি বিজয়ের জীবনে শক্তির উৎস হয়ে আছেন।
আরও পড়ুন