Advertisement

পর্নো সাইটে অন্তরঙ্গ দৃশ্য, বাঙালি অভিনেত্রীর ক্ষোভ

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

ত্রিধা চৌধুরী। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
ত্রিধা চৌধুরী। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

সৃজিত মুখার্জির ‘মিশর রহস্য’ দিয়ে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেছিলেন ত্রিধা চৌধুরী। করেছেন আরও বাংলা সিনেমা। পরে অবশ্য মুম্বাইয়ে হিন্দি সিরিজ দিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন ত্রিধা চৌধুরী। বিশেষ করে ‘আশ্রম’ সিরিজে ববি দেওলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করে নানা আলোচনার জন্ম দেন। এক সাক্ষাৎকারে অভিনয় ক্যারিয়ার, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ত্রিধা।

অভিনয় আর অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ব্যাপারে ত্রিধা চৌধুরী মনে করেন, অভিনেত্রীদের চরিত্রের কারণে প্রায়ই নানা নেতিবাচকতার মুখোমুখি হতে হয়। বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করলে নানা ধরনের বিতর্ক হয়।

ত্রিধার ভাষ্যে, ‘একজন অভিনয়শিল্পী যে সীমা মেনে কোনো চরিত্রে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে সম্মত হয়েছেন, সেটার পেছনে অনেক নিবেদন থাকে। উদাহরণস্বরূপ, “আশ্রম”-এ আমার চরিত্রটি যৌনকর্মী, তাই পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকতেই পারে। কিন্তু এই দৃশ্যের শুটিং করার সময় আমি উপভোগ করছি না যদিও এটি আমার কাজের অংশ। সম্পাদনা দল আরও সৃজনশীলভাবে আমাকে উপস্থাপন করতে পারত।’

ত্রিধা আরও যোগ করেন, ‘প্রোডাকশন টিমের উচিত ছিল এ ধরনের অন্তরঙ্গ দৃশ্য পর্নো সাইটে যেন ছড়িয়ে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করা। এটা নির্মাতারও দায়িত্ব। কোনো কারণে ছড়িয়ে পড়লে সেটা যেকোনো মূল্যে দ্রুত বন্ধ করা।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রসঙ্গে ত্রিধা মনে করেন, সিনেমার অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলো ইদানীং রিলস আর শর্টসেও জায়গা পাচ্ছে। এটা অভিনেত্রীর কাজ আরও কঠিন করে তুলেছে।

তাঁর ভাষ্যে, ‘আমরা পর্দায় একজন অভিনয়শিল্পীকে দেখলে ভুলে যাই যে তাঁরা শুধু কাজ করছেন। বিশেষ করে একজন অভিনেত্রীকে বারবার ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে বা কিছু চরিত্রে দেখলে আমরা তাঁকে “যৌন আবেদনময়ী’ বানাই। আমাদের বুঝতে হবে, সবই চরিত্রের জন্য করা। বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিল নেই।’

ত্রিধা ‘আশ্রম’ সিরিজের অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে বলেন, ‘আমি খুবই নার্ভাস ছিলাম। তবে শুটিং শুরু হওয়ার পর ববি দেওল এবং অন্য অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করা বেশ সহজ হয়ে গেছে। পরিচালক প্রকাশ ঝা–ও সহযোগিতা করেছেন।’ ত্রিধা মনে করেন, যেকোনো সংবেদনশীল দৃশ্যে আসলে সবারই সহযোগিতা প্রযোজন হয়, এটা শিল্পীদের আত্মবিশ্বাসী করে।’

হটারফ্লাই অবলম্বনে

Lading . . .