Advertisement
  • হোম
  • বিনোদন
  • আর্থিক অনটনে করেছেন ফুল বিক্রি, নিঃশব্দে নায়িকা বন...

আর্থিক অনটনে করেছেন ফুল বিক্রি, নিঃশব্দে নায়িকা বনশ্রীর বিদায়

আমার সংবাদ

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আর্থিক অনটনে করেছেন ফুল বিক্রি, নিঃশব্দে নায়িকা বনশ্রীর বিদায়
আর্থিক অনটনে করেছেন ফুল বিক্রি, নিঃশব্দে নায়িকা বনশ্রীর বিদায়

এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা সাহিনা আকতার বনশ্রী ছিলেন দর্শকের করতালির কেন্দ্র, যার হাসি-অভিনয়ে ভরে উঠত সিনেমা হল, সেই বনশ্রীর জীবনের শেষটা ছিল নিঃসঙ্গতায় ভরা। শেষের দিনগুলোয় বাস্তব জীবনের পর্দায় দুঃখ-কষ্টই ছিল তার সম্বল। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বনশ্রীর মৃত্যু হয়। সন্ধ্যার পর সমাহিত করা হয় নানাবাড়ির কবরস্থানে।

১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সোহরাব-রুস্তম’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় বনশ্রীর আত্মপ্রকাশ। নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে অভিনীত ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়। রাতারাতি পরিচিত হয়ে ওঠেন বনশ্রী। এরপর শুরু হয় তার ব্যস্ত সময়। একে একে তিনি অভিনয় করেন ৮ থেকে ১০টি ছবিতে।

নায়ক মান্না, রুবেল ও আমিন খানের সঙ্গে পর্দা মাতান তিনি। দর্শকেরা তাকে গ্রহণ করে নতুন প্রজন্মের নায়িকা হিসেবে। শুটিং সেট, গান, নাচ, ক্যামেরার ঝলকানি- সব মিলিয়ে তখন তার জীবন রঙিন সিনেমার মতোই। কিন্তু অজানা কারণে হুট করেই সিনেমায় অভিনয় ছেড়ে দেন বনশ্রী। তারপর শুরু জীবনের নতুন অধ্যায়, যে অধ্যায়ে এসে তিনি পড়েন অর্থকষ্টে।

জীবনের এই কঠিন লড়াইয়ে একটা সময় সংসার চালাতে কষ্ট হয়। মাথা গোঁজার ঠাঁইও হারান। একসময় শাহবাগে ফুল বিক্রির ব্যবসাও শুরু করেন। কিন্তু তা দিয়েও পুরোপুরি চলত না সংসার। শেষ পর্যন্ত তাঁকে নামতে হয় বাসে বাসে হকারির মতো কাজেও।

এর আগে বনশ্রী বলেছিলেন, ‘চলচ্চিত্র ছেড়ে দেওয়ার পরই আর্থিক অনটনে পড়ি। শাহবাগে ফুলের ব্যবসা করেছি। বাসে বাসে হকারিও করতে হয়েছে তিন বেলা খাবার জোগাড় করতে।’

শহুরে জীবনের চড়াই-উতরাই শেষে বনশ্রী ফিরে যান নিজ জেলা মাদারীপুরের শিবচরে। আশ্রয় মেলে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ছোট ঘরে। সরকারি অনুদান হিসেবে পাওয়া ২০ লাখ টাকার সুদই ছিল তাঁর একমাত্র ভরসা ছিল। একসময়ের নায়িকা তখন গ্রামে একা, খুব সাধারণ এক জীবন যাপন করতেন।

১৯৭২ সালে শিবচরের মাদবরের চর ইউনিয়নের শিকদারকান্দি গ্রামে জন্ম বনশ্রীর। বাবা মজিবুর রহমান মজনু শিকদার ও মা সবুরজান রীনা বেগমের দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে বনশ্রী বড়। সাত বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি।

বনশ্রীর ছোট ভাই হারুন শিকদার গতকাল গণমাধ্যমকে জানান, বেশ কয়েক মাস ধরে তার বোন বনশ্রী কিডনি, মস্তিস্ক, হার্টেরসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। ঢাকার একাধিক হাসপাতালে কয়েক মাস ধরে চলে তাঁর চিকিৎসাসেবা। মাস দুয়েক আগে তিনি শিবচর যান। পাঁচ দিন আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিজে গিয়ে ভর্তি হন। কয়েক দিন ধরে চলে তার চিকিৎসা। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

জেএইচআর

Lading . . .