Advertisement

শীতে ত্বকের যত্নে মধু কীভাবে উপকার করে

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট উপাদানমডেল: হৃদি। কৃতজ্ঞতা: শোভন মেকওভার। ছবি: সুমন ইউসুফ
মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট উপাদানমডেল: হৃদি। কৃতজ্ঞতা: শোভন মেকওভার। ছবি: সুমন ইউসুফ

ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে মধু। মধু দিয়ে সহজেই তৈরি করা যায় ত্বকবান্ধব কিছু ফেসপ্যাক।

বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি জানান রূপচর্চায় মধু ব্যবহারের কিছু উপায়—

১ চা-চামচ টক দই ও ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। প্যাকটি ত্বকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ দেখাবে।

১ চা-চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর প্যাকটিতে সামান্য গোলাপজল যোগ করুন। ত্বকে মেখে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এটি মুখের টি-জোন, অর্থাৎ নাক, কপাল ও থুতনির তেলতেলে ভাব কমাবে, ত্বককে করবে টান টান।

১ চা-চামচ মধু ও ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে দিন। কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। প্যাকটি ত্বকের দাগ হালকা করতেও সহায়তা করে।

শুষ্ক ও নিস্তেজ ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে ১ চা-চামচ অ্যালোভেরা জেল ও ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

১ চা-চামচ ওটসগুঁড়া, ১ চা-চামচ মধু ও সামান্য পানি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন। স্ক্রাব ব্যবহারের আগে প্রথমে মুখ পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। এরপর স্ক্রাব হাতে নিয়ে চক্রাকারে মুখের ত্বকে ঘষুন। মনে রাখবেন, ত্বকে খুব জোরে স্ক্রাব ঘষা যাবে না। ৪-৫ মিনিট স্ক্রাবিং করার পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মৃত কোষ দূর করে ত্বককে কোমল করে। চাইলে মুখের পাশাপাশি হাত-পায়ের ত্বকেও স্ক্রাবটি ব্যবহার করতে পারেন।

১ চা-চামচ দুধ ও ১ চা-চামচ মধু একসঙ্গে মেশান। এটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি শীতের রুক্ষ ত্বককে নরম করে, ফিরিয়ে আনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।

সপ্তাহে ২-৩ বার যেকোনো প্যাক ব্যবহার করুন।

সব সময় প্যাক ব্যবহারের আগে ত্বক পরিষ্কার করে নিন।

সাধারণ প্যাক ব্যবহার করে ত্বকে ১৫-২০ মিনিট রাখা উচিত। এর চেয়ে খুব বেশি সময় প্যাক ত্বকে রাখবেন না।

যেকোনো উপাদান প্রথমবার ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্যাচ টেস্ট করে নিন।

প্যাক ধোয়ার পর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

Lading . . .