প্রকাশ: ২ জুলাই, ২০২৫

বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য ভুটান ভ্রমণে আগে থেকেই অন এরাইভাল ভিসা সুবিধা আছে। কিন্তু পর্যটকদের জন্য বাড়তি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ট্যাক্স (এসডিএফ) আরোপ, ঢাকা থেকে পর্যাপ্ত ফ্লাইট না থাকা এবং অনলাইনে ফ্লাইট বুকিং সুবিধা না থাকার কারণে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী পর্যটক ভুটান যেতে পারতেন না।
এখন সেই ভোগান্তি কমাতে নতুন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে ভুটান ট্যুরিজম করপোরেশন লিমিটেড (বিটিসিএল)। এরই অংশ হিসেবে জুন থেকেই ঢাকায় নতুন অফিস দিয়ে কার্যক্রম শুরু করছে বিটিসিএল।
পর্যটকদের জন্য এসডিএফ যাত্রী প্রতি ২০০ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে মাত্র ১৫ ডলার নির্ধারণ করেছে। জুলাই মাসে ঢাকা থেকে বড় ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহন করবে। এর ফলে আগের তুলনায় দ্বিগুণ যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে।
বিটিসিএলের সাথে ঢাকার জিটেক অ্যাভিয়েশন লিমিটেড এবং চট্টগ্রামের ট্রেফেল ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা আসে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনফারেন্স হলে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্তত ২০ ট্রাভেল অ্যাজেন্ট অংশ নেয়।
সভায় বিটিসিএলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (ভুটান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট) চেনচো শেরনিং বলেন, বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য আমরা ট্যাক্স জনপ্রতি ২০০ ডলার থেকে কমিয়ে মাত্র ১৫ ডলারে নির্ধারণ করেছি। এর ফলে পর্যটকদের খরচ অনেক কমবে। এখন ঢাকা থেকে ভুটানে সপ্তাহে দু’টি ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহন হয়। সবগুলোই ছিল ৪০ সিটের ছোট ফ্লাইট। জুলাই মাস থেকে আমরা চারটি এয়ারবাস নিয়ে যাত্রী পরিবহন শুরু করছি। এতে একসাথে ১২০ যাত্রী ভুটান নেয়া সম্ভব হবে।
বাংলাদেশী পর্যটকদের সার্বিক সহযোগিতা দিতে বিটিসিএলের সাথে কাজ করছে জি টেক অ্যাভিয়েশন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশী পর্যটকদের ফ্লাইট টিকিট বুকিং, ট্যুর প্যাকেজ, পর্যটকদের যাবতীয় সমস্যা দেখার আগে কোনো অফিস ছিল না। এখন ঢাকায় একটি অফিস খুলেছে ভুটান ট্যুরিজম করপোরেশন। ফলে আগের চেয়ে বেশি পর্যটক বাংলাদেশ থেকে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
ট্রেফেল ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরসের ম্যানেজার মোহাম্মদ মামুন বলেন, ঢাকা-ভুটান ফ্লাইট পরিচালনা করছে কেবল ভুটানভিত্তিক সরকারি এয়ারলাইন্স ড্রুক এয়ার। এখানে বাংলাদেশী এয়ারলাইনসে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি নিলে প্রতিযোগিতার কারণে টিকিট ভাড়া অনেক কমে আসবে।
আরও পড়ুন