Advertisement

জাপান ভ্রমণের ১০ টিপস

ডেইলি স্টার

প্রকাশ: ১৬ জুলাই, ২০২৫

জাপানের চুরেইটু প্যাগোডা। ছবি: সংগৃহীত
জাপানের চুরেইটু প্যাগোডা। ছবি: সংগৃহীত

জাপান একটি অনন্য দেশ, যেখানে ঐতিহ্য আর আধুনিকতা একসঙ্গে মিলেমিশে আছে। প্রথমবার যাত্রা করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা থাকলে ভ্রমণ আরও সহজ ও স্মরণীয় হয়। নিচে দেওয়া হলো ১০টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস, যা আপনার জাপান সফরকে করবে আনন্দদায়ক ও সুশৃঙ্খল।

যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারীদের জন্য জাপানে প্রবেশে আলাদা ভিসার প্রয়োজন হয় না। তবে আপনার পাসপোর্ট অবশ্যই প্রবেশের সময় এবং পুরো ভ্রমণের সময় বৈধ থাকতে হবে। পাসপোর্টে অন্তত একটি খালি পাতা থাকতে হবে যাতে প্রবেশ ও প্রস্থান স্ট্যাম্প লাগানো যায়।

জাপানের আন্তর্জাতিক পর্যটক কর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার প্রস্থানের বিমান টিকিটের মূল্যের সঙ্গে যোগ হয়, যার পরিমাণ প্রায় এক হাজার ইয়েন (সাত মার্কিন ডলার)। ২০২৬ সাল থেকে 'পর্যটক কর' নিয়ে সরকারি আলোচনা চলছে এবং কিছু শহরে যেমন কিয়োটোতে ইতোমধ্যে থাকার ওপর কর আরোপ শুরু হয়েছে।

জাপান সারাবছর ভ্রমণের উপযোগী। বসন্তকালে মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের প্রথম দিকে যখন চেরি ফুল ফোটে, তখন জাপানে ভিড় সর্বোচ্চ এবং হোটেলের দামও বেশি থাকে।

শীতকালে গরম ঝর্ণা বা অনসেন উপভোগের জন্য উপযুক্ত সময়। হোক্কাইডোতে স্কিইং বা স্নোবোর্ডিং করতে পারেন।

গ্রীষ্মে দক্ষিণের ওকিনাওয়া খুবই জনপ্রিয়, যেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য ভিন্নরকম। শরৎকালে আবহাওয়া স্বাচ্ছন্দ্যময় ও মনোরম এবং নানা উৎসবও অনুষ্ঠিত হয়।

জাপানের সবচেয়ে বড় ছুটির সময় হলো 'গোল্ডেন উইক', যা এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসের শুরু পর্যন্ত চলে। এই সময়ে দেশজুড়ে লোকজন ছুটিতে বের হয়, ফলে জনপ্রিয় পর্যটনস্থলে ভিড় বাড়ে এবং হোটেল খরচ অনেক বেড়ে যায়।

আপনি যদি খরচ কমাতে চান এবং শান্তিপূর্ণ ভ্রমণ চান, এই সময়টি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

জাপান
জাপানে বখশিশ প্রচলিত নয়। ছবি: সংগৃহীত

৪. সঠিক হোটেল বেছে নিন

জাপানে রয়েছে আকাশচুম্বী আধুনিক হোটেল, ঐতিহ্যবাহী রিওকান (জাপানি অতিথিশালা), আরামদায়ক ক্যাপসুল হোটেল এবং লাভ হোটেল, সব বাজেটের জন্য উপযুক্ত।

টোকিওর শিবুয়া, শিনজুকু ও গিনজা এলাকা প্রথমবারের ভ্রমণকারীদের জন্য খুবই সুবিধাজনক।

হোটেল ইন্ডিগো টোকিও শিবায়া আধুনিকতা আর বিলাসিতার মিশ্রণ যেখানে অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়।

কম বাজেটের জন্য শিবা পার্ক হোটেল ভালো বিকল্প, যা টোকিও টাওয়ারের কাছে এবং বইপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। আগেভাগে বুকিং দিলে সুবিধা হয়।

৫. টিপ (বখশিশ) সংস্কৃতি বুঝে নিন

জাপানে টিপ দেওয়ার সংস্কৃতি প্রচলিত নয়। তবে টোকিওর গোল্ডেন গাই এলাকায় কিছু বার, ইজাকায়া (জাপানি পাবে) এবং বারগুলোতে রাতের সময় টেবিল চার্জ থাকে, যা সাধারণত বিলের সঙ্গে যুক্ত হয়।

যদি আপনি কোনো বিশেষ ব্যক্তিগত ট্যুর গাইড পান বা গেইশার সঙ্গে ডিনার উপভোগ করেন, টিপ দেওয়া ঐচ্ছিক হলেও প্রশংসিত হয়।

জাপান
হোটেল বুক করুন আগেভাগেই। ছবি: সংগৃহীত

৬. নগদ টাকা রাখুন, সব জায়গায় কার্ড গ্রহণযোগ্য নয়

বেশিরভাগ দোকান, রেস্তোরাঁ ও পরিবহন ব্যবস্থা ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড গ্রহণ করে, তবে অনেক জায়গায় আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং পর্যাপ্ত পরিমাণ জাপানি ইয়েন সঙ্গে রাখা জরুরি।

বিমানবন্দর, হোটেল ও কনভেনিয়েন্স স্টোর বা কনবিনি-তে এটিএম রয়েছে, যা বিদেশি কার্ড গ্রহণ করে এবং নিরাপদ। একটি ছোট কয়েন পাউচ বা থলি সঙ্গে রাখলে ছোট ছোট টাকা রাখতে সুবিধা হয়।

৭. আগেভাগেই রেস্তোরাঁ বুক করুন

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মিশেলিন তারকাপ্রাপ্ত রেস্তোরাঁ জাপানে অবস্থিত। ভালো খাবার খেতে হলে আগে থেকে রিজার্ভেশন নেওয়া বাঞ্ছনীয়। ভেন্ডিং মেশিন থেকে রামেন কেনা এবং খাওয়া একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা।

রিজার্ভেশন না থাকলেও টেবলগ অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই রেস্তোরাঁ খুঁজে নিতে পারেন। জনপ্রিয় রেস্তোরাঁয় লাইন ধরে অপেক্ষা করাও জাপানের খাবার সংস্কৃতির অংশ।

৮. ট্রেন ও বাস ব্যবহার করুন

জাপানের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও সময়নিষ্ঠ। সুইকা ও পাসমো নামে প্রিপেইড ট্রাভেল কার্ড কিনে নিতে পারেন, যা বাস, ট্রেন, ফেরি ও কনবিনি থেকে কেনাকাটায় ব্যবহার করা যায়।

বেশি পরিসরে ভ্রমণের জন্য জাপান রেল পাস (জেআর পাস) কিনলে সুবিধা হয়। ট্যাক্সি ও উবার পাওয়া যায়, তবে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের তুলনায় বেশি খরচ হয়।

৯. কনবিনি ঘুরে দেখুন

কনবিনি বা কনভিনিয়েন্স স্টোর জাপানের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ৭-ইলেভেন, লসন, ফ্যামিলি মার্টসহ নানা কনবিনি রয়েছে। এখানে খাবার, পানীয়, টিকিট, উপহারসামগ্রী থেকে শুরু করে আইসি কার্ড রিফিল করা যায়। এটিএমগুলো অধিকাংশ বিদেশি কার্ড গ্রহণ করে এবং নিরাপদ।

জাপান
কনবিনি ঘুরে দেখতে ভুলবেন না। ছবি: সংগৃহীত

১০. প্রয়োজনীয় অ্যাপ ডাউনলোড করুন

গুগল ম্যাপস হতে পারে আপনার সেরা সহচর।

কিছু বেসিক জাপানি শব্দ যেমন কোন্নিচাইওয়া (হ্যালো), আরিগাতো (ধন্যবাদ) জানা ভালো হলেও, গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপ ব্যবহার করলে ভাষাগত অসুবিধা অনেক কমে যাবে।

স্মার্টফোন ক্যামেরা দিয়ে জাপানি থেকে ইংরেজিতে রিয়েল-টাইম অনুবাদ করা যায়। কারেন্সি কনভার্টার ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে সহজেই ইয়েন থেকে ডলারে রূপান্তর করতে পারবেন।

রেস্তোরাঁ বুকিংয়ের জন্য ট্যাবেলগ এবং পরিবহনের জন্য সুইকা কার্ড অ্যাপ ডাউনলোড করুন।

বড় শহরে ওয়াইফাই পাওয়া যায়। তবে ছোট শহরে পকেট ওয়াইফাই বা লোকাল সিম কার্ড কেনা বুদ্ধিমানের কাজ।

পরিশেষে বলা যায়, সঠিক পরিকল্পনা ও স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে আপনি আপনার জাপান ভ্রমণকে স্মরণীয় করে তুলতে পারবেন। এই ১০টি টিপস আপনাকে সাহায্য করবে সেরা অভিজ্ঞতা অর্জনে।

জাপানে রয়েছে আকাশচুম্বী আধুনিক হোটেল, ঐতিহ্যবাহী রিওকান (জাপানি অতিথিশালা), আরামদায়ক ক্যাপসুল হোটেল এবং লাভ হোটেল, সব বাজেটের জন্য উপযুক্ত।

টোকিওর শিবুয়া, শিনজুকু ও গিনজা এলাকা প্রথমবারের ভ্রমণকারীদের জন্য খুবই সুবিধাজনক।

হোটেল ইন্ডিগো টোকিও শিবায়া আধুনিকতা আর বিলাসিতার মিশ্রণ যেখানে অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়।

কম বাজেটের জন্য শিবা পার্ক হোটেল ভালো বিকল্প, যা টোকিও টাওয়ারের কাছে এবং বইপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। আগেভাগে বুকিং দিলে সুবিধা হয়।

জাপানে টিপ দেওয়ার সংস্কৃতি প্রচলিত নয়। তবে টোকিওর গোল্ডেন গাই এলাকায় কিছু বার, ইজাকায়া (জাপানি পাবে) এবং বারগুলোতে রাতের সময় টেবিল চার্জ থাকে, যা সাধারণত বিলের সঙ্গে যুক্ত হয়।

যদি আপনি কোনো বিশেষ ব্যক্তিগত ট্যুর গাইড পান বা গেইশার সঙ্গে ডিনার উপভোগ করেন, টিপ দেওয়া ঐচ্ছিক হলেও প্রশংসিত হয়।

জাপান
হোটেল বুক করুন আগেভাগেই। ছবি: সংগৃহীত

৬. নগদ টাকা রাখুন, সব জায়গায় কার্ড গ্রহণযোগ্য নয়

বেশিরভাগ দোকান, রেস্তোরাঁ ও পরিবহন ব্যবস্থা ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড গ্রহণ করে, তবে অনেক জায়গায় আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং পর্যাপ্ত পরিমাণ জাপানি ইয়েন সঙ্গে রাখা জরুরি।

বিমানবন্দর, হোটেল ও কনভেনিয়েন্স স্টোর বা কনবিনি-তে এটিএম রয়েছে, যা বিদেশি কার্ড গ্রহণ করে এবং নিরাপদ। একটি ছোট কয়েন পাউচ বা থলি সঙ্গে রাখলে ছোট ছোট টাকা রাখতে সুবিধা হয়।

৭. আগেভাগেই রেস্তোরাঁ বুক করুন

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মিশেলিন তারকাপ্রাপ্ত রেস্তোরাঁ জাপানে অবস্থিত। ভালো খাবার খেতে হলে আগে থেকে রিজার্ভেশন নেওয়া বাঞ্ছনীয়। ভেন্ডিং মেশিন থেকে রামেন কেনা এবং খাওয়া একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা।

রিজার্ভেশন না থাকলেও টেবলগ অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই রেস্তোরাঁ খুঁজে নিতে পারেন। জনপ্রিয় রেস্তোরাঁয় লাইন ধরে অপেক্ষা করাও জাপানের খাবার সংস্কৃতির অংশ।

৮. ট্রেন ও বাস ব্যবহার করুন

জাপানের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও সময়নিষ্ঠ। সুইকা ও পাসমো নামে প্রিপেইড ট্রাভেল কার্ড কিনে নিতে পারেন, যা বাস, ট্রেন, ফেরি ও কনবিনি থেকে কেনাকাটায় ব্যবহার করা যায়।

বেশি পরিসরে ভ্রমণের জন্য জাপান রেল পাস (জেআর পাস) কিনলে সুবিধা হয়। ট্যাক্সি ও উবার পাওয়া যায়, তবে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের তুলনায় বেশি খরচ হয়।

৯. কনবিনি ঘুরে দেখুন

কনবিনি বা কনভিনিয়েন্স স্টোর জাপানের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ৭-ইলেভেন, লসন, ফ্যামিলি মার্টসহ নানা কনবিনি রয়েছে। এখানে খাবার, পানীয়, টিকিট, উপহারসামগ্রী থেকে শুরু করে আইসি কার্ড রিফিল করা যায়। এটিএমগুলো অধিকাংশ বিদেশি কার্ড গ্রহণ করে এবং নিরাপদ।

জাপান
কনবিনি ঘুরে দেখতে ভুলবেন না। ছবি: সংগৃহীত

১০. প্রয়োজনীয় অ্যাপ ডাউনলোড করুন

গুগল ম্যাপস হতে পারে আপনার সেরা সহচর।

কিছু বেসিক জাপানি শব্দ যেমন কোন্নিচাইওয়া (হ্যালো), আরিগাতো (ধন্যবাদ) জানা ভালো হলেও, গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপ ব্যবহার করলে ভাষাগত অসুবিধা অনেক কমে যাবে।

স্মার্টফোন ক্যামেরা দিয়ে জাপানি থেকে ইংরেজিতে রিয়েল-টাইম অনুবাদ করা যায়। কারেন্সি কনভার্টার ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে সহজেই ইয়েন থেকে ডলারে রূপান্তর করতে পারবেন।

রেস্তোরাঁ বুকিংয়ের জন্য ট্যাবেলগ এবং পরিবহনের জন্য সুইকা কার্ড অ্যাপ ডাউনলোড করুন।

বড় শহরে ওয়াইফাই পাওয়া যায়। তবে ছোট শহরে পকেট ওয়াইফাই বা লোকাল সিম কার্ড কেনা বুদ্ধিমানের কাজ।

পরিশেষে বলা যায়, সঠিক পরিকল্পনা ও স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে আপনি আপনার জাপান ভ্রমণকে স্মরণীয় করে তুলতে পারবেন। এই ১০টি টিপস আপনাকে সাহায্য করবে সেরা অভিজ্ঞতা অর্জনে।

বেশিরভাগ দোকান, রেস্তোরাঁ ও পরিবহন ব্যবস্থা ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড গ্রহণ করে, তবে অনেক জায়গায় আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং পর্যাপ্ত পরিমাণ জাপানি ইয়েন সঙ্গে রাখা জরুরি।

বিমানবন্দর, হোটেল ও কনভেনিয়েন্স স্টোর বা কনবিনি-তে এটিএম রয়েছে, যা বিদেশি কার্ড গ্রহণ করে এবং নিরাপদ। একটি ছোট কয়েন পাউচ বা থলি সঙ্গে রাখলে ছোট ছোট টাকা রাখতে সুবিধা হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মিশেলিন তারকাপ্রাপ্ত রেস্তোরাঁ জাপানে অবস্থিত। ভালো খাবার খেতে হলে আগে থেকে রিজার্ভেশন নেওয়া বাঞ্ছনীয়। ভেন্ডিং মেশিন থেকে রামেন কেনা এবং খাওয়া একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা।

রিজার্ভেশন না থাকলেও টেবলগ অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই রেস্তোরাঁ খুঁজে নিতে পারেন। জনপ্রিয় রেস্তোরাঁয় লাইন ধরে অপেক্ষা করাও জাপানের খাবার সংস্কৃতির অংশ।

জাপানের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও সময়নিষ্ঠ। সুইকা ও পাসমো নামে প্রিপেইড ট্রাভেল কার্ড কিনে নিতে পারেন, যা বাস, ট্রেন, ফেরি ও কনবিনি থেকে কেনাকাটায় ব্যবহার করা যায়।

বেশি পরিসরে ভ্রমণের জন্য জাপান রেল পাস (জেআর পাস) কিনলে সুবিধা হয়। ট্যাক্সি ও উবার পাওয়া যায়, তবে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের তুলনায় বেশি খরচ হয়।

কনবিনি বা কনভিনিয়েন্স স্টোর জাপানের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ৭-ইলেভেন, লসন, ফ্যামিলি মার্টসহ নানা কনবিনি রয়েছে। এখানে খাবার, পানীয়, টিকিট, উপহারসামগ্রী থেকে শুরু করে আইসি কার্ড রিফিল করা যায়। এটিএমগুলো অধিকাংশ বিদেশি কার্ড গ্রহণ করে এবং নিরাপদ।

গুগল ম্যাপস হতে পারে আপনার সেরা সহচর।

কিছু বেসিক জাপানি শব্দ যেমন কোন্নিচাইওয়া (হ্যালো), আরিগাতো (ধন্যবাদ) জানা ভালো হলেও, গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপ ব্যবহার করলে ভাষাগত অসুবিধা অনেক কমে যাবে।

স্মার্টফোন ক্যামেরা দিয়ে জাপানি থেকে ইংরেজিতে রিয়েল-টাইম অনুবাদ করা যায়। কারেন্সি কনভার্টার ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে সহজেই ইয়েন থেকে ডলারে রূপান্তর করতে পারবেন।

রেস্তোরাঁ বুকিংয়ের জন্য ট্যাবেলগ এবং পরিবহনের জন্য সুইকা কার্ড অ্যাপ ডাউনলোড করুন।

বড় শহরে ওয়াইফাই পাওয়া যায়। তবে ছোট শহরে পকেট ওয়াইফাই বা লোকাল সিম কার্ড কেনা বুদ্ধিমানের কাজ।

পরিশেষে বলা যায়, সঠিক পরিকল্পনা ও স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে আপনি আপনার জাপান ভ্রমণকে স্মরণীয় করে তুলতে পারবেন। এই ১০টি টিপস আপনাকে সাহায্য করবে সেরা অভিজ্ঞতা অর্জনে।

Lading . . .