‘দলীয় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে ইনসাফ ও বিজয়ের শুভ সূচনা হয়েছে’
দলীয় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে ইনসাফ ও বিজয়ের শুভ সূচনা হয়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ‘বাংলাদেশে অচিরেই সত্যের বিজয় ও মিথ্যা পরাভূত হবে।’
সোমবার (২ জুন) রাজধানীর গুলশানে ঢাকা-১৭ আসন জামায়াতের উদ্যোগে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে দলীয় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় শুকরিয়া আদায়ের জন্য দোয়া ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গুলশান পশ্চিম থানা আমির মাওলানা মাহমুদুর রহমান আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা: এস এম খালিদুজ্জামান।
এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত ও মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য হেদায়েত উল্যাহ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনানী থানা আমির মিজানুর রহমান খান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের গুলশান জোন পরিচালক সাইফুল ইসলাম, গুলশান পশ্চিম থানা সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন ও বনানী থানা সেক্রেটারি আব্দুর রাফি প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আলাদত দলীয় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে ন্যায়-ইনসাফের বিজয়ের শুভ সূচনা হয়েছে। আর অবিলম্বেই চুড়ান্তভাবে সত্যের বিজয় নিশ্চিত হবে, ইনশাআল্লাহ।’
এ সময় তিন উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আমাদের কাজের মূল্যায়ন করুন। অবশ্য আমরা মানুষ হিসেবে ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নই। আমরা নিজেদেরকে কখনোই ফেরেশতা মনে করি না। আর আমাদের ভুল ইচ্ছাকৃত নয় বরং মানবীয়। তাই আপনাদের উচিত অন্য দলের কার্যক্রমের সাথে আমাদের কার্যক্রম মিলিয়ে দেখা। আমরা এ সংসদীয় আসনের জন্য এমন একজন ব্যক্তিকে মনোনীত করেছি যিনি একজন ব্যতিক্রমী মানুষ এবং সুচিকিৎসক। প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে সুচিকিৎসা পৌঁছে দিতে সক্ষম তিনি। তিনি আপনাদের সব সময় পাশে থাকবেন। যেকোনো সুখ-দুঃখের কথা তার সাথে শেয়ার করবেন। তিনি সাধ্যমতো সকল সমস্যার সমাধান দেবেন, ইনশাআল্লাহ।’
সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘জামায়াত একটি কল্যাণকামী, গণমুখী ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন। আমাদেরকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা আমাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। কিন্তু আমরা সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই ময়দানে আপসহীন ভূমিকা পালন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই যে সমাজে ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্য থাকবে না। যে সমাজ হবে দুর্নীতি, অনিয়ম, সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়াসহ সকল প্রকার অপরাধমুক্ত।’
সর্বোপরি, সে সমাজে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, মত ও পথ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির নাগরিকের সকল ধরনের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। তিনি সে স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।