মেঘনা নদীতে সাত কিলোমিটার ধাওয়া করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা থেকে ৭০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ছলিমগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়িতেছবি: প্রথম আলো

মেঘনায় ৭ কিলোমিটার ধাওয়া করে ৭০ কেজি গাঁজাসহ দুজনকে আটক

মেঘনা নদীতে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় তিন যাত্রী। নৌকা থামাতে ইশারা দেয় নৌ পুলিশ। কিন্তু তিন যাত্রী হঠাৎ নৌকার গতি বাড়িয়ে দেন। সন্দেহ হলে স্পিডবোট নিয়ে তাঁদের ধাওয়া করে নৌ পুলিশ। সাত কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এক পর্যায়ে নৌকা থেকে ঝাঁপ দিয়ে তীরে পৌঁছান তিনজন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয় নৌ পুলিশ। পরে তল্লাশি চালিয়ে নৌকা থেকে ৭০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর–বাঞ্ছারামপুর নৌপথে এ ঘটনা ঘটে। নবীনগর উপজেলার ছলিমগঞ্জ নৌ পুলিশ ইউনিট ওই দুজনকে আটক করে। পুলিশ জানায়, এসব মাদক সুনামগঞ্জ থেকে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে নেওয়া হচ্ছিল।

আটক দুজন হলেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চর কাটারীর বোটপাড়ার বাসিন্দা মো. আকাশ মোল্লা (৩১) ও একই জেলার আলকদিয়ার জোরান সিকদারপাড়ার বাসিন্দা মো. আকবর আলী সিকদার (৫০)। দুজনই মাদক কারবারি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ছলিমগঞ্জ নৌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নৌপথে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে মাদক পাচার করা হবে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে নৌ পুলিশের একটি দল মেঘনা নদীতে সকালে টহল দেওয়া শুরু করে। দুপুর ১২টার দিকে মেঘনা নদীতে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় তিন যাত্রী দেখে থামাতে ইশারা দেওয়া হয়। কিন্তু যাত্রীরা নৌকা না থামিয়ে গতি বাড়ান। এতে নৌ পুলিশের সন্দেহ হয়। স্পিডবোটে থাকা নৌ পুলিশ তাঁদের তাড়া করে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জয়কালী গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকায় তিন যাত্রী নৌকা থেকে পানিতে লাফ দেন। নৌ পুলিশ ধাওয়া করে তীরে পৌঁছে আকাশ ও আকবরকে আটক করলেও তৃতীয়জন পালিয়ে যান।

ছলিমগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হায়দার তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, আটক দুই ব্যক্তি ও জব্দ করা মাদক ফাঁড়ির হেফাজতে আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।