ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ইউনুছ আলী (৬২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আজ বুধবার সকালে যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে, গত রোববার সংঘর্ষেই নিহত হন তার ছোট ভাই মহব্বত আলী (৫৮)। দুই ভাইয়ের নিহতের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইউনুছ আলী উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের মরহুম হবিবুর রহমানের ছেলে।
একই পরিবারের পরপর দুই সদস্য নিহত হওয়ায় নাকোবাড়িয়া, কোলা বাজার, পারখালকোলা, তালিয়ান, নাটোপাড়া ও গুল্লা গ্রামে শোক ও উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার কালীগঞ্জের জামাল ইউনিয়নের পারখালকোলা গ্রামের শ্মশানঘাট এলাকায় বিএনপির আরিফ ও নজরুল মোল্লা গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে মহব্বত আলী ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং তার বড় ভাই ইউনুছ আলী গুরুতর আহত হন। পরে তাকে যশোরে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। চারদিন পর মারা গেলেন বড় ভাই ইউনুস আলী।
এ ঘটনায় নিহত মহব্বত আলীর ছেলে এনামুল হক কালীগঞ্জ থানায় ৫৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে আটজনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, এলাকার কোলা বাজারের আধিপত্য এবং মাদক কারবার নিয়ে আরিফ ও জলিল গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকে এই সহিংসতার সূত্রপাত। এ দ্বন্দ্বের জেরে একাধিকবার বোমাবাজি ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় কোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলী ও সভাপতি সরোয়ার হোসেন মোল্লা দুই মাস আগে আহত হন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। সংঘর্ষপূর্ব ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসাথে মাঠে কাজ করছে।