জাবিতে আন্দোলনের স্মৃতি ধরে রাখতে ‘জুলাই স্মৃতি সড়ক’ চায় ছাত্রশিবির

জাবিতে আন্দোলনের স্মৃতি ধরে রাখতে ‘জুলাই স্মৃতি সড়ক’ চায় ছাত্রশিবির

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ জুলাইয়ের কালরাতে উপাচার্য বাসভবন থেকে চৌরঙ্গী পর্যন্ত সড়কে সংঘটিত ঘটনার স্মৃতি সংরক্ষণের অংশ হিসেবে ওই সড়কের নাম ‘জুলাই স্মৃতি সড়ক’ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বুধবার (৩ জুলাই) শাখা শিবিরের সভাপতি মহিবুর রহমান মুহিব ও সেক্রেটারি মুস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রস্তাবনায় এ দাবি জানান তারা। এছাড়াও ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান'কে জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আখ্যা দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এ অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতাকে স্মরণীয় করে রাখতে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে তারা।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, 'জুলাই অভ্যুত্থানে জাবির সাহসী শিক্ষার্থীরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছে, রক্ত ঝরিয়েছে। সেই সাহসিকতার স্মৃতি ও স্পিরিট ধরে রাখতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমরা পাঁচটি প্রস্তাব রাখছি।'

প্রস্তাবনায় বলা আরও বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে; ১৫ জুলাইয়ের ঘটনার স্মৃতিতে উপাচার্য বাসভবন-চৌরঙ্গী সড়কের নাম ‘জুলাই স্মৃতি সড়ক’ রাখতে হবে; আন্দোলনের ইতিহাস ও আত্মত্যাগ স্মরণে ‘জুলাই কর্নার’ স্থাপন ও ‘জুলাই স্মৃতি স্মারক’ সম্পাদন করতে হবে; প্রস্তাবিত ৪টি আবাসিক হলের নামকরণ জুলাইয়ের চেতনা অনুযায়ী করতে হবে; এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের একাডেমিক হয়রানি বন্ধে খাতা পুনর্মূল্যায়নের মতো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, “আমরা প্রত্যাশা করি—জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেটধারী প্রশাসন এই ঐতিহাসিক বিপ্লবের মানকে উচ্চকিত রাখতে প্রস্তাবনাগুলো গ্রহণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”