কৃষক সোহাগ মৃধা আজ বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে ষাঁড় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেনছবি: প্রথম আলো

খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ‘কালো মানিক’ নিয়ে ঢাকার পথে কৃষক সোহাগ

প্রায় ৩৫ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ঢাকার পথে রওনা দিয়েছেন কৃষক সোহাগ মৃধা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকঢোল পিটিয়ে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তিনি।

আদর করে সোহাগ মিয়া ষাঁড়টির নাম রেখেছেন ‘কালো মানিক’। রঙিন কাগজে সাজিয়ে তিনটি ভাড়া করা ট্রাকের একটিতে কালো মানিককে ফুলের মালা পরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্য দুটি ট্রাকের একটিতে বিশেষ পোশাকে বাদক দল, আরেকটি ট্রাকে সোহাগের সফরসঙ্গী অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন যুবক এবং তাঁর ছোট ছেলে জিসান।

সোহাগ মিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আশা, ষাঁড়টি উপহার হিসেবে খালেদা জিয়া গ্রহণ করবেন।

কৃষক সোহাগ মৃধার বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী। ৬ বছর ধরে পরিবারের সবাই মিলে সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন ষাঁড়টি। কুচকুচে কালো রঙের ষাঁড়টিকে ভালোবেসে সবাই ‘কালো মানিক’ বলে ডাকেন।

সোহাগ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে স্থানীয় চৈতা বাজার থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভি কেনেন সোহাগ মৃধা। সপ্তাহ যেতে না যেতেই গাভিটি একটি বাছুরের জন্ম দেয়। পরে গাভিটি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন আর বাছুরটিকে ভুসি, খৈল, সবুজ ঘাস, খড়কুটা খাইয়ে পরিবারের সদস্যরা মিলে ছয় বছর ধরে লালন-পালন করেন। এটি লম্বায় ১০ ফুট, উচ্চতায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি আর ওজন প্রায় ১ হাজার ৪০০ কেজি।

সোহাগ মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাবা বিএনপির রাজনীতি করতেন। আমিও বিএনপিকে ভালোবাসি। ভাইরাল হওয়ার জন্য না, আবেগ থেকেই প্রিয় নেত্রীকে আমার প্রিয় কালো মানিককে উপহার দিতে চাই। আর কিছুই চাই না। এতে লাভ-লোকসানের কিছু নেই।’

আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সোহাগ বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী। বাড়িতে মা, স্ত্রী ও দুটি শিশুসন্তান আছে। তাঁদের সহায়তায় ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন ছয় বছর ধরে। তিনি জানিয়েছেন, ষাঁড়টি তিনি খালেদা জিয়াকে উপহার দেবেন। আজ ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।’

সোহাগের মা হাজেরা বেগমের আশা, খালেদা জিয়া উপহারটি গ্রহণ করবেন। তাঁর ছেলের ইচ্ছা পূরণ করবেন।