বরিশালের গৌরনদীর মাহিলাড়া ইউনিয়নে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন আহ্বায়ক সজল সরকার।
বুধবার (৪ জুন) গৌরনদী প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া লিখিত বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
এ সময় তিনি নিজের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং সাংবাদিকদের ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে আইনের আশ্রয় নেয়ার ঘোষণা দেন।
গৌরনদী প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তার বিরুদ্ধে ভিজিএফ রসিদ জালিয়াতির অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক’ দাবি করে সজল সরকার বলেন, ‘আমি কোনো ভিজিএফ কার্ড জালিয়াতি করিনি। মাত্র ১২ জন দরিদ্র নারীর জন্য টুকরো কাগজে পরিষদের সচিবের কাছে সুপারিশ করেছিলাম। অথচ এর আগের দিন ৩ জুলাই নিজের স্বাক্ষরিত রসিদ দেয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন বিএনপি নেতা সজল সরকার।’
সাংবাদিক সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করে সজল তার বক্তব্যের একপর্যায়ে এমন সব শব্দ ব্যবহার করেন যা তাৎক্ষণিকভাবে সভাস্থলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যারা সংবাদ প্রকাশ করেছেন তারা ফ্যাসিবাদের দোসর, হলুদ সাংবাদিকতা করছেন, বিএনপিকে বিতর্কিত করতে পরাজিত শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন। বক্তব্যে সজল সাংবাদিকের কাছ থেকে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার সময় বেধে দেন। অন্যথায় তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও হুঁশিয়ারি প্রদান করেন।
গৌরনদী প্রেসক্লাবের একাধিক সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকলেও দায়িত্বের সাথে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলনের নামে সাংবাদিকদের হুমকি ধমকি দিয়ে সংবাদ ফিরিয়ে নেয়ার চাপ সৃষ্টি করলে সেটি মুক্ত সাংবাদিকতার পরিপন্থী। একটি অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে এসে যদি সাংবাদিকদের হেয় করা হয়। সেটি সংবাদ সম্মেলন নয় বরং হুমকি ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও বলেন তারা।’