বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, নেত্রকোণা |সংগৃহীত

নেত্রকোনায় বন্যার আশঙ্কা, নিমাঞ্চাল প্লাবিত

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনা জেলার নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলার প্রধান পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী, কংশ, উব্দাখালী, ধনু, মগড়াসহ বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে টই টম্বুর হয়ে উঠেছে।

সুনামগঞ্জ জেলা হয়ে নেত্রকোনার হাওরের উপর দিয়ে প্রবাহিত ধনু নদ, সীমান্তের উব্দাখালী, কংশ নদ ও মগড়া নদীর পানি এখন বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

চলতি বোরো মৌসুমের ফসল এবার নিরাপদভাবে ঘরে উঠাতে পারায় কৃষক, কৃষাণীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। কাঙ্খিত রোবো ফসল উঠতে না উঠতেই প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদী, খাল-বিল ও হাওরাঞ্চল তলিয়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অতি বর্ষণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে আসায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে।

আজ সোমবার জেলার বেশিভাগ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের নারী-পুরুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়তে দেখা গেছে, রোজগারের অভাবে অনেকে বিপাকে পড়েছেন। ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিপণী বিতানে আশানরূপ ক্রেতা সাধারনের অভাবে দোকানিদের মধ্যে হতাশার ছাপ দেখা দিয়েছে।

নেত্রকোনা পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম নয়া দিগন্তকে বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ায় অসংখ্য নারী-পুরুষ ভোগান্তির কবলে পড়েছেন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার জোর আশঙ্কা রয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে কোরবানির হাটে ক্রেতা, বিক্রেতারা নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছেন।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান বলেন, প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সোমেশ্বরী, কংশ নদের চেয়েও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে পাহাড়ি নদী উব্দাখালী। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা রয়েছে।