ছবি: সংগৃহীত

পিএসজিকে উড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন চেলসি

নতুন ফরম্যাটে শুরু হওয়া ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের জমজমাট আসরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে (প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইন) ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেলসি। এই জয়ের মধ্য দিয়ে লন্ডনের এই ক্লাবটি দ্বিতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল। রোববারের রাতে নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে চেলসি প্রথমার্ধেই সব ক'টি গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পিএসজিকে এবারের আসরের ফেভারিট ভাবা হলেও, চেলসির অধিনায়ক রিচ জেমস ম্যাচের আগে তাদের 'রিয়াল মাদ্রিদ' না হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এবং মাঠেও তার দল গোল হজম করা তো দূরে থাক, প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগই তৈরি করতে দেয়নি।

ম্যাচে বল দখলে পিএসজি'র আধিপত্য থাকলেও (৬৭% বল দখল), চেলসির আক্রমণ ছিল অনেক বেশি কার্যকর। বিশেষ করে কোল পালমার ও এনজো ফার্নান্দেজের মিডফিল্ড জুটি পিএসজি'র ডায়নামিক মিডফিল্ড ও ফ্রন্টলাইনকে অকার্যকর করে তোলে। ম্যাচের ২২তম মিনিটে ইংলিশ মিডফিল্ডার কোল পালমার প্রথম গোল করে চেলসিকে এগিয়ে দেন। মাত্র আট মিনিট পর, ৩০তম মিনিটে পালমার তার দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। প্রথমার্ধের শেষদিকে, ৪২তম মিনিটে পালমারের পাস থেকে চিপ করে জালে বল পাঠিয়ে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার জোয়াও পেদ্রো পিএসজির ম্যাচে ফেরার সব আশা শেষ করে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলেও, পিএসজি ৮৫তম মিনিটে মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেসের লাল কার্ডের কারণে দশজনের দলে পরিণত হয়।

এই নিয়ে ২০২২ সালের পর পুনরায় ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হলো চেলসি। তবে ব্লুজরা নতুন ফরম্যাটের টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এর কৃতিত্ব নিশ্চয়ই বেশি। গত প্রায় এক যুগ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলই ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে আসছিল, চেলসি সেই ধারা ভেঙে দিল।