ফুটবল যাদের নেশা, তাদের চোখ ছিল একটাই ম্যাচে, বায়ার্ন মিউনিখ বনাম ফ্ল্যামেঙ্গো। একদিকে ইউরোপের বরফশীতল কৌশল, অন্যদিকে লাতিন আমেরিকার জ্বলন্ত আবেগ। দুইয়ের সংঘাতে শেষ হাসি হেসেছে বাভারিয়ান যন্ত্রনির্মাতা বায়ার্ন। রোববার দিবাগত রাতে ৪-২ গোলের জয় তুলে নিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ফ্লোরিডার হার্ড রক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচ যেন ছিল এক ফুটবল থ্রিলার। দ্রুত গোল, আত্মঘাতী ভুল, পেনাল্টি আর হ্যারি কেইনের দ্বৈত আঘাত। ম্যাচের মাত্র ৬ মিনিটেই ফ্ল্যামেঙ্গো নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে এগিয়ে দেয় বায়ার্নকে। এক আত্মঘাতী ভুলে খেলার রঙ বদলে যায়। এরপর ৯ মিনিটে দূর থেকে দুরন্ত বাঁ পায়ের শটে হ্যারি কেইন দ্বিতীয় গোলটি করে বুঝিয়ে দিলেন এটা তাদের রাত।জার্মান রক্ষণভাগে ফাটল ধরাতে দেরি করেননি জেরসন। ৩৩ মিনিটে ফিলিপে লুইজের পাসে গোল করে ২-১ ব্যবধানের বার্তা দেন ব্রাজিলিয়ানরা। কিন্তু বায়ার্নের মধ্যমাঠে থাকা গোরেতজকা ৪১ মিনিটে তৃতীয় গোল করে আবার ব্যবধান বাড়িয়ে দেন। প্রথমার্ধ শেষে স্কোরলাইন- বায়ার্ন ৩, ফ্ল্যামেঙ্গো ১। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ৩-২ করে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান ফ্ল্যামেঙ্গোর জর্জিনহো। এরপর একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে ব্রাজিলিয়ান দলটি। কিন্তু শেষ প্রহরে ফের দৃশ্যপটে হ্যারি কেইন। ৭৩ মিনিটে করা তার দ্বিতীয় গোলই নিশ্চিত করে দেয় জার্মান জয়ের ছক। শেষ দিকে একাধিক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ফ্ল্যামেঙ্গো। গোললাইন পেরোতে পারল না বল, পেরোতে পারল না প্রতিরোধশীল বায়ার্নকে। এমন দাপুটে ফুটবলের পর ব্রাজিলের আরেক প্রতিনিধি ফ্ল্যামেঙ্গোও বিদায় নিলো টুর্নামেন্ট থেকে। আর বায়ার্ন পা রাখল শেষ আটে। যেখানে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ইউরোপ সেরা পিএসজি।