ক্লাব বিশ্বকাপের সূচিতে যখন PSG বনাম বোতাফোগোর ম্যাচের ঘোষণা হয় তখন সকলে প্রায় একটা বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন। সেটা PSG-র জয় ও বোতাফোগোর হার। এর কারণ অবশ্যই PSG-র সদ্য UEFA চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়। লুইস এনরিকের অধীনে ফ্রান্সের ক্লাবটি যেই পারফর্ম্যান্স দেখিয়েছে সেটা দেখার পর তাদের জয় ধরে নিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কোনও না কোনও সময় মুখ থুবড়ে পড়ে। সেটাই হয়েছে। বোতাফোগোর কাছে ১-০ গোলে হারতে হয়েছে PSG-কে। আর এই ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেন ইগর জেসুস। এই জয়ের ফলে রেকর্ড তৈরি করল বোতাফোগো।
এই ম্যাচটা ছিল UCL জয়ী ও কনমেবল লিবার্তাদোরেস জয়ীদের বিরুদ্ধে। ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাদেনার রোজ় বোল স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই ম্যাচে ছিল দর্শকে ভরা।
শুরু থেকেই ছিল PSG-র দাপট
ম্যাচের শুরু থেকে PSG দাপট দেখাতে থাকে। কিন্তু চোটের জন্য বাইরে থেকে ওউসমান দেম্বেলের অভাব বারবার প্রকট হচ্ছিল। সুযোগ তৈরি করলেও ফিনিশ করতে পারছিল না PSG। প্রথমার্ধে মাত্র ৫টা শট নিতে পারে PSG। যা লুইস এনরিকের সময়কালে সবচেয়ে কম শট।
PSG-র এই ভুলের সুযোগ নেয় বোতাফোগো। ৩৬ মিনিটে ইগর জেসুস গোল করেন। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে শট নিয়ে দোনারুমাকে বোকা বানিয়ে তাঁর শট জালে জড়ায়। এর পর কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি এবং বোতাফোগো জিতে শেষ ১৬-তে যাওয়া নিশ্চিত করে নিল। তারা প্রথম ম্যাচে সিয়াটেল সাউন্ডার্সকে হারিয়েছিল। এ বার PSG-কে হারিয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিল।
ফুটবলে গোলই শেষ কথা, এটা সকলেরই জানা। এখানে সেটাই হলো। PSG-র শট আটকাল বোতাফোগো। পুরো ম্যাচে ৭৫ শতাংশ বলের দখল রেখেছিল PSG। সেখানে গোলে বল রাখতে পেরেছে মাত্র দুটি। অন্যদিকে ২৫ শতাংশ বলের দখল রেখে বোতাফোগো ৪টি শট রাখে।
A post shared by DAZN Portugal (@daznportugal)
ইতিহাস বোতাফোগোর
এই জয়ের ফলে নতুন ইতিহাস লিখল বোতাফোগো। তারা হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম কোনও দল যারা FIFA-র কোনও টুর্নামেন্টে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নকে হারাল। এরসঙ্গে PSG-র বিপক্ষে অপরাজিত রইল তারা। ১৯৮৪ সালে প্রথমবার দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচ তারা জিতেছিল, ৪১ বছর পর ফের দুই দল মুখোমুখি হলো এবং শেষ হাসি হাসল বোতাফোগো।
এ বার ক্লাব বিশ্বকাপে কনমেবল দলগুলো রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখল। দক্ষিণ আমেরিকার কোনও দল চলতি ক্লাব বিশ্বকাপে হারেনি। আটটার মধ্যে পাঁচটাই জিতেছে দক্ষিণ আমেরিকার দল আর বাকিগুলো ড্র হয়েছে।