বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গুলিতে নিহত রিকশাচালক তুহিন হত্যা মামলায় এনসিসির সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে।
উচ্চ আদালতে জামিন শুনানির আবেদন পেন্ডিং থাকায় আগামী ৭ জুলাই রিমান্ড শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তুহিন হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আইভীকে জিজ্ঞাসাবাদে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। শুনানিকালে আইভী কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ২০ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় রিকশাচালক তুহিন (৩৬)। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আলেয়া আক্তার মীম বাদী হয়ে গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শেখ হাসিনা, শামীম ওসমান, আইভীর নামে মামলা হয়। এ মামলায় আইভী ১১ নাম্বার আসামি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আওলাদ হোসেন বলেন, জেলা জজ আদালতে আমরা ফৌজদারি মিস মামলা দায়ের করলে আদালত আইভীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জামিন আবেদন করি। জামিন আবেদন পেন্ডিং থাকায় আদালত রিমান্ড শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
বিবাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী মাহাবুবুর রহমান মাসুম বলেন, সাবেক মেয়র আইভী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও তিনি গডফাদার শামীম ওসমান বিরোধী ছিলেন। তিনি শামীম ওসমানের নির্দেশে মিছিলে যাবেন, গুলি করবেন যেটা কল্পনাতীত। এ মামলায় তাকে বিতর্কিত করার জন্য জড়ানো হয়েছে। আশা করছি উচ্চ আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পাব।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ভারপ্রাপ্ত পিপি ওমর ফারুক নয়ন বলেন, তুহিন হত্যা মামলার আসামি আইভীকে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে। উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন পেন্ডিং থাকায় আগামী ৭ জুলাই রিমান্ড শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।