শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষক গ্রেফতার
দাগনভূঞায় মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিশু ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতার শিক্ষক উপজেলার গজারিয়া দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার নুরানি বিভাগের শিক্ষক। তিনি পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকার হকের বাপের বাড়ির মো. সালাউদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের গজারিয়া দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ভবনসংলগ্ন টিনশেড ঘরের উত্তর পাশে একটি কক্ষে গত শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিদিনের মতো ওই শিশু শিক্ষার্থী সকাল ৮টার দিকে দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় যায়। পৌনে ১০টার দিকে একই মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম ছাত্রীকে ঝাড়ু আনতে বলেন। ছাত্রীটি ঝাড়ু আনতে গেলে অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফুল কক্ষের ভেতর গিয়ে ভিকটিমকে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং শ্লীলতাহানি করে। তখন ভিকটিমের চিৎকারে ক্লাশ রুম থেকে ছাত্রছাত্রীরা এসে ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে মাকে জানালে তিনি মাদ্রাসার প্রিন্সিপালসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ঘটনার বিষয়টি জানান। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে এলাকার লোকজন অভিযুক্ত সাইফুলকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে এলাকার লোকজন সাইফুলকে ধরে দাগনভূঞা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আটক শিক্ষকের পিতা মো. সালাউদ্দিন বলেন, আমার ছেলেকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।
মাদ্রাসার মুহতামিম মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, আমি গত কয়েক দিন অসুস্থ ছিলাম। মাদ্রাসায় যাইনি। তাই সঠিক ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
দাগনভূঞা থানার ওসি মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। রোববার বিকালে অভিযুক্ত সাইফুলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।