নতুন গ্রহাণুর দিকে চোখ নাসার, ধেয়ে যাবে পৃথিবীর পাশ দিয়ে এ সপ্তাহে
পৃথিবীর বেশ কাছে চলে এসেছে ১২০ ফুট উঁচু বিমানের সমান একটি গ্রহাণু। গ্রহাণুর নাম ২০২৫ এমএম। এ সপ্তাহে গ্রহাণুটি বেশ কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। বিজ্ঞানীরা নজর রাখছেন এই গ্রহাণুর দিকে। গ্রহাণুটি ১ দশমিক ২৯ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে ভ্রমণ করবে। যদিও এ অবস্থান কোনো হুমকির বা ক্ষতিকর নয়। তবে গ্রহাণুর কক্ষপথের পরিবর্তন হলে সংকট তৈরি হতে পারে।
গ্রহাণু ২০২৫ এমএম বিমান আকারের গ্রহাণু। উচ্চবেগে সুনির্দিষ্ট পথে চলছে এটি। ১ জুলাই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে পৌঁছায়। মহাজাগতিক দিক থেকে এই দূরত্ব বেশ কাছাকাছি। চাঁদের চেয়ে পৃথিবী থেকে তিনগুণ বেশি দূরে অবস্থান করছে গ্রহাণুটি। গ্রহাণু ২০২৫ এমএম প্রায় ২৩ হাজার ৮৭৪ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিতে ভ্রমণ করছে। এই গতিতে ভ্রমণ করার কারণে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে দুই ঘণ্টার কম সময় লাগবে গ্রহাণুটির।
২০২৫ এমএম গ্রহাণুটির ব্যাস প্রায় ১২০ ফুট বা ৩৬ মিটার, যা বোয়িং ৭৩৭ বিমানের ডানার বিস্তৃতির সমান। মহাজাগতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি বেশ ছোট গ্রহাণু। এই মাত্রার গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে বা গ্রহের পৃষ্ঠের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে প্রচুর ক্ষতি করতে পারে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ভাষ্যে, ২০২৫ এমএম গ্রহাণু অ্যাটেন পরিবারের অংশ। এদের কক্ষপথ সাধারণত সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর কক্ষপথের মধ্যে থাকে। এ ধরনের গ্রহাণুর কক্ষপথ সাধারণত পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করে। নাসা গ্রহাণুটিকে ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক বস্তু নয়’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। বেশ শক্তিশালী টেলিস্কোপ ও রাডার ব্যবহার করে গ্রহাণুটিকে ট্র্যাক করা হচ্ছে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া