ভিনিসিউসের এমন রূপই ব্রাজিলের জার্সিতে দেখতে চান আনচেলত্তি। ছবি: রয়টার্স।

রেয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিউসকে ব্রাজিলে চান আনচেলত্তি

জার্সিতে বদল হলেই বদলে যান ভিনিসিউস জুনিয়র, এই অভিযোগ পুরোনো। রেয়াল মাদ্রিদের সাদা জার্সিতে উজ্জ্বল এই তারকা ফ্যাকাশে হয়ে ওঠেন ব্রাজিলের হলুদ জার্সি গায়ে চাপালেই। এবার বুঝি সেই হাহাকার শেষ হওয়ার সময় এলো! ব্রাজিলের কোচ কার্লো আনচেলত্তির পরিষ্কার বার্তা, পুরোনো শিষ্যকে তিনি দেশের জার্সিতে দেখতে চান ক্লাবের রূপেই।

ব্রাজিলের হয়ে ভিনিসিউসের অভিষেক প্রায় ছয় বছর আগে। কিন্তু বলার মতো কিছু এখনও তিনি করতে পারেননি। দেশের হয়ে ৩৯ ম্যাচে তার গোল স্রেফ ছয়টি। শুধু গোলই হয়, পারফরম্যান্সেই তাকে চেনা গেছে খুব কম সময়ই। রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে যে ভিনিসিউসকে চেনে গোটা বিশ্ব, যে দলের হয়ে পারফরম্যান্সে ব্যালন দ’র জয়ের কাছাকাছি ছিলেন তিনি, সেই একই ফুটবলারকে হলুদ জার্সিতে মাঠে খুঁজে পাওয়া যায় না প্রায়ই।

রেয়ালে যে কোচ তাকে শাণিত করেছেন, সেই আনচেলত্তি এখন ব্রাজিলের কোচ। ব্রাজিলের সমর্থকদের তাই এখন নতুন করে আশা দেখার সময়।

সেই আশার পালে আনচেলত্তি জোর হাওয়া দিলেন একুয়েডরের বিপক্ষে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে।

“জানি না, সে এখানে নিজের সেরা রূপে ছিল কি না। তবে রেয়াল মাদ্রিদে যা করে, এখানেও তা করে দেখানোর সময় আছে এখনও। আমাদের জন্য সে প্রধান ফুটবলারদের একজন। সে যাতে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে আমাদের।”

ব্রাজিলের অনুশীলনে সতীর্থদের সঙ্গে ভিনিসিউস। ছবি: রয়টার্স।
ব্রাজিলের অনুশীলনে সতীর্থদের সঙ্গে ভিনিসিউস। ছবি: রয়টার্স।

আনচেলত্তির উচ্চাশা আছে আরেক তরুণ প্রতিভা এস্তোভোকে নিয়েও। ব্রাজিলে বেশ আগে থেকেই তার খেলায় পেলে ও লিওনেল মেসির ছাপ দেখছেন অনেকে। তাকে ‘মেসিনিয়ো’ বা ‘ছোট মেসি’ নামেও ডাকা হচ্ছে।

ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনায় অবশ্য তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলারদের ‘নতুন পেলে’, ‘নতুন মারাদোনা, ‘নতুন মেসি’ নাম দেওয়া হয় অহরহই। তবে এস্তোভো যে সত্যিই প্রতিভাবান, সেটির প্রমাণ চেলসি তাকে দলে নেওয়াতেই। গত এপ্রিলে ১৮ পূর্ণ করা উইঙ্গার এই গ্রীষ্মেই যোগ দিচ্ছেন ইংলিশ ক্লাবটিতে।

আনচেলত্তির বিশ্বাস, এস্তোভো একসময় আলো ছড়াবেন ব্রাজিলের জার্সিতে। তবে তাকে সামলাতে হবে যত্ন ও সতর্কতায়।

“সে স্পেশাল এক প্রতিভা… তার মানসিকতা ভালো, ছেলে হিসেবেও ভালো, খুব বিনয়ী ও তাকে যথেষ্ট ভালো মনে হচ্ছে আমার। তবে যে কোনে তরুণ ফুটবলারকে নিয়ে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে ও যত্নশীল হতে হবে। ভবিষ্যতে জাতীয় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়ে ওঠার উপাদান তার মধ্যে আছে।”

একুয়েডরের বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচটি শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায়। আনচেলত্তির কোচিংয়ে ব্রাজিলের খেলার ধরন কেমন হবে, তা নিয়েও আছে লোকের প্রবল কৌতূহল।

সম্ভাব্য ট্যাকটিকস নিয়ে আনচেলত্তি কিছু বললেন না। তবে এটুকু জানিয়ে রাখলেন, একটা দল হিসেবে খেলতে হবে সবাইকে।

“রক্ষণ ভালোভাবে সামলাতে হবে আমাদের, সেটা ৪-৩-৩ হোক বা ৪-৪-২। একসঙ্গে রক্ষণ সামলাতে হবে এবং বল পায়ে সৃষ্টিশীলতা দেখাতে হবে।”

“এই যুগে স্রেফ ব্যক্তিগত ঝলক যথেষ্ট নয়। ব্যক্তিগত মানের সঙ্গে মানসিকতা, তাড়না ও নিবেদন মেশাতে হবে।”