আইয়ার–ঝড়ে ফাইনালে পাঞ্জাব, নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে আইপিএল
প্রথমে ব্যাট করে ২০০ করা মানেই মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের জয়, ব্যাপারটা এমনই ছিল। পরিসংখ্যানটা আর নিখুঁত রইল না। ২০০ করে প্রথম ১৮ ম্যাচেই জেতা মুম্বাই আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ২০৩ রান করেও হেরে গেছে পাঞ্জাব কিংসের কাছে। আর ৫ উইকেটের জয়ে ১১ বছর পর আবার আইপিএলের ফাইনালে উঠল পাঞ্জাব। যেখানে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পাঞ্জাবের মতো বেঙ্গালুরুও কখনো জেতেনি আইপিএল। যার অর্থ, মঙ্গলবারের ফাইনালে নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে আইপিএল
আহমেদাবাদে পাঞ্জাবের জয়ের নায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ৪১ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেই এক ওভার হাতে রেখেই দলকে জিতিয়েছেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। ৮টি ছক্কা মেরেছেন আইয়ার। যার সর্বশেষটি হয়ে আছে জয়সূচক শট।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি পাঞ্জাবের। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে যখন ওপেনার প্রভসিমরান সিং ফিরলেন দলটির স্কোর ১৩/১। এরপর অবশ্য ঝড় তোলেন প্রিয়াংশ আর্য ও জশ ইংলিস। ১৮ বলেই দ্বিতীয় উইকেটে ৪২ রান যোগ করেন দুজন। এর ২০ রানই এসেছে যশপ্রীত বুমরার করা পঞ্চম বলে। ২টি করে চার-ছক্কায় ২০ রানই এসেছে ইংলিসের ব্যাট থেকে। এবারের আইপিএলে বুমরার ওভারে সবচেয়ে বেশি তোলার রেকর্ড এটিই।
পরের ওভারে প্রথমবার বোলিং করতে এসেই প্রথম বলেই আর্যকে (১০ বলে ২০) হার্দিক পান্ডিয়ার ক্যাচ বানান অশ্বনী কুমার। অষ্টম ওভারে পান্ডিয়া ফিরিয়ে দেন ২১ বলে ৩৮ করা ইংলিসকে। ৭২ রানে ৩ উইকেট হারানো পর চতুর্থ উইকেটে ৪৭ বলে ৮৪ রান যোগ করেন শ্রেয়াস আইয়ার ও নেহাল ওয়াধেরা। ২৯ বলে ৪৮ রান করে অশ্বনীর দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন ওয়াধেরা। এরপর শশাঙ্ক সিং যখন রানআউট হলেন ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ২০ বলে ৩৫ রান দরকার পাঞ্জাবের। এরপর পুরো দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নিলেন আইয়ার। ১৯তম ওভারে অশ্বনীকে চারটি ছক্কা মেরেই ম্যাচ শেষ করে দিলেন আইয়ার।
মুম্বাইয়ের ২০৩ রানের ইনিংসটা দশে মিলেই গড়া। কোনো ফিফটি নেই, তবে চার ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৩৫ ছাড়ানো ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪৪ রান তিলক বর্মা ও সূর্যকুমার যাদবের। তিলক ২৯ বল খেলেছেন, সূর্যকুমার খেলেছেন ২৬ বল। এ ছাড়া ২৪ বলে ৩৮ রান করেছেন জনি বেয়ারস্টো। আর নমন ধির ৩৭ রান করেছেন ১৮ বলেই।
১৯ রানে ওপেনার রোহিত শর্মাকে হারানো পর বেয়ারস্টো ও তিলক দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৫১ রান। এরপর তিলক সূর্যকুমারকে নিয়ে তৃতীয় উইকেট করেন ৭২ রান। শেষ দিকে ঝড় তুলেই রানটাকে ২০০-র ওপারে নিয়ে যান ধির।