বিদায় মুম্বাই, ফাইনালে পাঞ্জাব

বিদায় মুম্বাই, ফাইনালে পাঞ্জাব

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সম্পর্কে একটা কথা প্রচলিত। টুর্নামেন্টের বয়স যত বাড়ে, তত অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে এই দলটি। আর প্লে-অফে গেলে তো কথাই নেই। চ্যাম্পিয়ন কিংবা নিদেনপক্ষে ফাইনাল তো খেলবেই তারা। ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া তারই প্রমাণ।

সেই দলটি যখন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পাঞ্জাব কিংসের সামনে ২০৪ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলো, তখন মুম্বাইকে আরও একবার ফাইনালে দেখে ফেলেছিলেন অনেকে; কিন্তু অধিনায়ক স্রেয়াশ আয়ার ঝড়ে সেই সম্ভাবনা সব নাকচ করে দিলো পাঞ্জাব কিংস।

১ ওভার হাতে রেখে মুম্বাইকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করলো প্রীতি জিনতার দল। ৩ জুন, আহমেদাবাদের মেগা ফাইনালে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হবে স্রেয়াশ আয়ারের পাঞ্জাব কিংস।

প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান সংগ্রহ করেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। জবাবে ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করে পাঞ্জাব।

জয়ের জন্য ২০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই প্রাবসিরাম সিংয়ের (৬) উইকেট হারায় পাঞ্জাব। এরপর প্রিয়ানস আরিয়া এবং জস ইংলিস মিলে চেষ্টা করেন প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিতে। ১০ বলে ২০ রান করে আউট হন প্রিয়ানস আরিয়া। ২১ বলে ৩৮ রান করেন জস ইংলিস।

তবে স্রেয়াশ আয়ার এবং নেহাল ওয়াধেরার জু্টিই মূলত পাঞ্জাবকে জয়ের পথ দেখায়। স্রেয়াশ আয়ার ঝড় তোলেন। ৪১ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন তিনি। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে মারেন ৮টি ছক্কার মার।

নেহাল ওয়াধেরা ২৯ বলে খেলেন ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস। শেষ পর্যন্ত স্রেয়াশ আয়ারই উইকেটে থেকে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়াম টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান সংগ্রহ করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বড় কোনো ইনিংস কেউ খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে সংগ্রহ করেন তিলক ভার্মা ও সূর্যকুমার যাদব। ৩৮ রান করেন জনি বেয়ারেস্ট এবং ৩৭ রান করেন নামার ধির।