গরমে এসি ঘামলে সতর্ক হওয়া জরুরি

গরমে এসি ঘামলে সতর্ক হওয়া জরুরি

গরমকালে অনেক সময় দেখা যায়, এসির ইনডোর ইউনিটের নিচে বা পাশে পানি জমে যাচ্ছে, অথবা এসি যেন ‘ঘামছে’। এটি শুধু বিরক্তিকর নয়, কখনো কখনো বড় কোনো সমস্যারও পূর্বাভাস হতে পারে।

এসি থেকে পানি পড়া বা ঘামা একদম অবহেলা করার মতো বিষয় নয়। ছোট সমস্যা থেকে বড় ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তাই সময়মতো সচেতন হওয়া, নিজেরা কিছু সাধারণ পরিদর্শন করা এবং প্রয়োজন হলে পেশাদার সাহায্য নেওয়া এগুলোই সঠিক পদক্ষেপ।

১. কনডেনসেশন বা ঘনীভবন প্রক্রিয়া
গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ইনডোর ইউনিটে ঠান্ডা ও গরম বাতাসের সংস্পর্শে জলীয় বাষ্প জমে পানি হয়ে পড়ে। এটি ঘামা বলেই বেশি পরিচিত।

২. ড্রেন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়া
ড্রেন পাইপ যদি ধুলা, শৈবাল বা ময়লায় আটকে যায়, তাহলে জমা পানি ঠিকভাবে বের হতে পারে না এবং তা ইউনিট থেকে বাইরে পড়ে যায়।

৩. ড্রেন প্যান ভাঙা বা জং ধরে যাওয়া
ড্রেন প্যানে ছিদ্র হলে বা জং ধরে গেলে পানি ফাঁস হয়ে নিচে পড়ে যেতে পারে।

৪. ফিল্টার নোংরা হয়ে যাওয়া
নোংরা ফিল্টার বাতাসের প্রবাহে বাধা দেয়। এতে ইনডোর ইউনিটে বরফ জমে পরে গলে পানি পড়ে।

৫. রেফ্রিজারেন্ট (গ্যাস) লিক
গ্যাস কমে গেলে কুলিং সিস্টেম ঠিকভাবে কাজ করে না, ফলে কুলিং কয়েলে বরফ জমে তা গলে পানি পড়ে।

৬. ইনস্টলেশন জনিত সমস্যা
অনেক সময় এসি সঠিকভাবে ইনস্টল না করলে বা ইনডোর ইউনিট সামান্য হেলে থাকলে পানি ঠিকমতো ড্রেন হয়ে বের হতে পারে না।

এই সমস্যাগুলো কিন্তু বড় কোনো বিপদের ইঙ্গিত দেয়। ইলেকট্রিক্যাল শর্টসার্কিট হতে পারে। ঘরের দেয়াল বা ফার্নিচার নষ্ট হতে পারে। গ্যাস লিক থাকলে এসির কম্প্রেসর নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সার্ভিসিং খরচ অনেক বেড়ে যেতে পারে

>> ফিল্টার পরিষ্কার করুন। প্রতি ১৫ দিন থেকে ১ মাস পরপর এসির ফিল্টার খুলে ধুয়ে ফেলুন।

>> ড্রেন পাইপ চেক করুন। পাইপে ময়লা বা শৈবাল জমেছে কি না দেখে পরিষ্কার করুন।

>> ইনডোর ইউনিটের নিচে পানি জমে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব মেরামতের জন্য কল করুন

>> প্রফেশনাল সার্ভিসিং করুন। বছরে অন্তত একবার পেশাদার টেকনিশিয়ান দিয়ে সার্ভিস করানো উচিত।

>> গ্যাস চেক করান। কুলিং কম মনে হলে গ্যাস লিক রয়েছে কিনা দেখানো উচিত।

>> বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা বজায় রাখুন। পানির সংস্পর্শে এসির বৈদ্যুতিক সংযোগ এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে এসি বন্ধ করে দিন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া