পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজের পরিকল্পনা, ডাক পেতে পারে বাংলাদেশ

পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজের পরিকল্পনা, ডাক পেতে পারে বাংলাদেশ

২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নিতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাক সংবাদ মাধ্যম জিও সুপারকে।

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের (সিএ) উপমহাদেশে প্রস্তুতি সফর আয়োজনের রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। বড় কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টের আগে উপমহাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তারা সাধারণত প্রস্তুতি সফর করে।

২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে পাঁচ ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল। আবার ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে তারা টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কায়।

২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারি-মার্চে। সেই বড় মঞ্চের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ফেব্রুয়ারির শুরুতে পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচের একটি দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে।

তবে সেটিকে ত্রিদেশীয় সিরিজে রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। সেই পরিকল্পনায় তৃতীয় দল হিসেবে বাংলাদেশের নাম উঠে এসেছে।

বিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রস্তাব পাঠায়নি, তবে অপ্রত্যাশিতভাবে কিছু আলোচনা হয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে বিসিবি ও পিসিবির মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির কারণে পাকিস্তান বাংলাদেশকে রাখতে আগ্রহী।

পিসিবি চেয়ারম্যান এবং সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এসিসি (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) সভাপতি মহসিন নকভি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তিনি ২৪ ও ২৫ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠেয় এসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নেবেন।

সভায় যোগ দেওয়ার ফাঁকে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে এই ত্রিদেশীয় সিরিজ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন বলেও জানা গেছে।

যদি সবকিছু চূড়ান্ত হয়, তাহলে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের নির্ধারিত সিরিজটি রূপ নেবে সাত ম্যাচের একটি ত্রিদেশীয় সিরিজে। যেখানে প্রতিটি দল অপর দুই দলের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে এবং শীর্ষ দুই দল খেলবে ফাইনাল।