সমালোচনা থেকে আলোচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারে বাংলাদেশ। এরপর জুন মাসে পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় টাইগাররা।
টানা দুই সিরিজ হারের পর শ্রীলংকা সফরে ২-১ এবং ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে টাইগাররা।
এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারলে ২০২৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স করা সম্ভব বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক।
একই সুরে কথা বলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। সাবেক এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি জিততে পারলেও আরও ভালো হবে। জয় আপনি হাতে করে যত নিয়ে যাবেন, টিমের ড্রেসিংরুমটা হেলদি হবে। আত্মবিশ্বাস পাবে। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ দারুণ খেলেছে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টির সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সফরকারীদের ১১০ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পায় বাংলাদেশ। গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩৩ রানের পুঁজিয়ে নিয়েও পাকিস্তানকে ১২৫ রানে অলআউট করে ৮ রানের জয়ে; সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচে ১৫ রানে পাকিস্তানের ৫ উইকেট শিকার করে নেওয়ার পর দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান। একটা সময়ে মনে হয়েছিল ফাহিম আশরাফরা ছিনিয়ে নিয়ে যাবেন।
১৯তম ওভারের শেষ বলে ৫১ রান করা ফাহিম আশরাফ আউট না হলে বাংলাদেশের কপালে দুর্গতি ছিল। ফাহিম আশরাফ আউট হয়ে যাওয়ায় দুই পেসার আহমেদ দানিয়াল ও সালাম মিরাজের পক্ষে শেষ ওভারে ১৩ রান সম্ভব হয়নি। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৮ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে রোমাঞ্চ নিয়ে খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘শেষ দিকে ম্যাচটি ক্লোজ হয়ে গেছিল, আরেকটু আগে শেষ করা যেত। রিশাদ যদি ভালো বোলিং করত। একটু খরুচে বোলিং করেছে সে।'
বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়। সেই অবস্থায় দলের হাল ধরেন জাকের আলি অনিক। পঞ্চম উইকেটে মেহেদি হাসানের সঙ্গে ৪৯ বলে ৫৩ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন জাকের আলি অনিক।
তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং নিয় পাইলট বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে জুটিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জাকের আলী অনিক এবং মেহেদির যে জুটিটা ছিল। একটা সুন্দর, সম্মানজনক রানে নিয়ে গেছে। এটাই সহজ করে দিয়েছে। শুরু থেকে বোলাররা প্রত্যেকে ভালো বোলিং করে গেছে।’