দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়॥ মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায়
মোঃ ছায়েফ উল্লাহ, মীরসরাই : খৈয়াছড়া ঝরনা যেন প্রকৃতির নান্দনিক তুলিতে আঁকা অপরূপ এক ছবি। এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ ভ্রমণপিয়াসীরা। চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়ায় আট স্তরের এই ঝরনা দেখতে দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে বছরজুড়ে। ঈদুল আযহার এই দীর্ঘ ছুটিতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় এই ঝরনায়। চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বড়তাকিয়া বাজারের উত্তরপাশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার পূর্বে এই ঝরনার অবস্থান। এরমধ্যে দুই কিলোমিটার যাওয়া যায় গাড়িতে, বাকি পথ যেতে হবে পায়ে হেঁটে। বাঁশের সাকো, ফসলি জমির পাশের পথ (আইল), আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ আর চারটি পাহাড় পেরিয়ে যখন ঝরনার স্বচ্ছ জলে শরীর ভেজায় পর্যটকেরা, তখন পথের ক্লান্তি ধুয়ে যায় নিমিষেই। সবুজ পাহাড় আর ঝরনার জলে ডুব দিয়ে ভ্রমণপিয়াসীরা খুঁজে পায় জীবন স্রোতে ছুটে চলার নতুন প্রেরণা। চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা প্রসেনজিৎ বলেন, “আসলে ঝরনাটি অনেক সুন্দর। গেলে বুঝতে পারবেন। অসাধারণ এক দৃশ্য, আট স্তরের ঝরনা। সবটি উঠতে পারিনি, চারটি পর্যন্ত উঠছি যাতায়াত ব্যবস্থা আর অবকাঠামোর উন্নয়ন করলে সরকার এই স্পট থেকে রাজস্ব আয় করতে পারবে।”
ঝরনায় ঘুরতে আসা এডভোকেট শিমুল চৌধুরী বলেন, “ঈদুল আযহার ছুটিতে যে সময়টি পেলাম আমার পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি, নিরিবিলি অসাধারণ একটি পরিবেশ।” উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ২০১০ সালে সরকার বারৈয়াঢালা বল্ক থেকে কুন্ডেরহাট (বড়তাকিয়া) বল্ক-কের ২ হাজার ৯৩৩ দশমিক ৬১ হেক্টর পাহাড়কে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। খৈয়াছড়া ঝরনা জাতীয় উদ্যানের আওতাভুক্ত একটি দর্শনীয় স্থান। চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ বারৈয়াঢালা রেঞ্জ বড়তাকিয়া বিট কর্তা অরুনরায় বলেন, “খৈয়াছড়া ঝরনাকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে কাজ করছে বারৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যানসহ ব্যবস্থাপনা কমিটি। ইতোমধ্যে খৈয়াছড়া ঝরনাকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে, অন্যান্য দিনের তুলনায় ঈদের ছুটিতে পর্যটক অনেক বেশি হয়ে থাকে।”